কাল সারাদিনে, তোমার সঙ্গে ঘুরেছি পৃথিবীটা!
প্রথমে ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া!
মেঘগুলি ছিল পায়ের নীচে, আর আকাশটা... নাগালের মধ্যে!
তুমি দেখছিলে আকাশ, আর আমি, তোমার চোখ!
পা দিয়ে মেঘের জল ঝরাতে ঝরাতে তুমি বলেছিলেঃ
ছুঁয়ে দেখোনা আকাশটা!  
আমি তোমার চোখে ঠোঁট ছুয়ে বলেছিলামঃ দেখলাম!


তোমার ঝরানো জলের সাথে, মেঘেদের ভিতর থেকে
কি করে যেন পৌঁছে গেলাম ব্যবিলনের অপার্থিব শূন্যোদ্দানে!
তুমি দেখে বললেঃ ফুলের গন্ধে নেশা-নেশা লাগে না কেমন!
আমি বললামঃ আমার নেশা তো চন্দ্রীমা তে!


তুমি আমার হাতটা টেনে নিয়ে বললেঃ চলো হাঁটি।
ব্যবিলন হয়ে গেল চীনের প্রাচীর!
কাল, তোমাকে নিয়ে হেঁটেছিলাম পুরো একটা জীবন!
তুমি বলছিলে জীবনের গল্প, মুগ্ধ আমি...স্মৃতি বানাচ্ছিলাম!
আমি বললামঃ তোমাকে একটা প্রাচীর বানিয়ে দিবো।
তুমি বলেছিলেঃ প্রাচীরে কাজ নেই, তার বদলে এই বুকটা দাও!


তুমি যখন আমার বুকে মুখ ডুবিয়ে ধরে ছিলে হাতগুলি,
আমি তখন ভাসছিলাম ছোটবেলায় দেখা নাম না জানা সেই নদীতে!
নদীর জলে ভিজে যাচ্ছিলো তোমার চুল!
টের পেয়ে তুমি বলেছিলেঃ আমাকেও ভাসিয়ে নিয়ে চলো ধ্রুব!