সারাটাদিন আজ প্রতীক্ষায় ছিলাম!
জানি তুমি কাল দিয়েছো অনেক, এবং
বলেছো অস্থির না হতে, তবু!

তুমি টেলিপ্যাথি তে বিশ্বাস করো ধ্রুব?
আমি বুঝতে পারি তোমার অস্থির সময়গুলি।
তবু প্রশ্ন করিঃ কেন!
কাল তো পেয়েছ যা চেয়েছ...সবই!

তুমি ছাড়া সময় যে কাটে না,
কবিতাও দেয় না ধরা!
তুমি ছাড়া পৃথিবীটা অন্ধকার!
বিষণ্ণ পাহাড় বুকে...আমি থাকি পথহারা!
তুমি না এলে, সূর্য উঠে না!
কবিতার ঘর খালি!
তুমি না এলে, তারারাও লুকিয়ে থাকে মেঘেদের পিছনে!
রাজপথ নেই, সব পথই... কানাগলি!

হুমম!

থাকো না যখন কাছে,
ভিতরে কি যেন ক্ষয়ে ক্ষয়ে যেতে থাকে!
সময়ের সাথে অস্থিরতা আরো বাড়ে!
সর্বহারা হতে থাকি...কেমন চক্রবৃদ্ধি হারে!
তীর্থের কাকের মতোন অপেক্ষায় থাকি তোমার
যদি দয়া হয় আমার দেবীর...আবার!

জানি আমি
প্রতিক্ষায় থাকো তুমি।
এও জানি, তুমি জানো আমারও থাকে আশা!
অস্থির থাকি শুনতে একটু কথা, একটু তোমার ভাষা!
তাই, যখনি সুযোগ পাই,
এক ছুটে আমি... তোমার কাছেই তো যাই!
যখন পাই না, তোমাকে দূর থেকে দেখি,
তোমার অস্থিরতা বুঝে নিজেও অস্থির হয়ে থাকি!

এমন যদি হয়
তুমি আর আসতে পারলে না আমার কাছে!
ভুলে গেলে! চলে গেলে! ফেলে গেলে!

এমন যদি হয়
আমি আসতে পারছি না তোমার কাছে,
তার মানে হবেঃ
আমি অপেক্ষায় থাকছি পরের জন্মের জন্যে
যে জন্মে আমরা হবো ঘাসফড়িঙ!
দুজনে একসাথে উড়ে বেড়াবো সবুজ ঘাসে,
জলকেলিতে নামবো জমে থাকা বৃষ্টির জলে,
বিরাট পৃথিবীর বড়ত্ব নিয়ে মাথা ঘামাবো না,
ছোট্ট দুদিনের জীবনটাকে পুরোপুরি তোমাকে দিবো
পুরুষ-ফরিং টা যেভাবে প্রেমিকাকে ধরে ছিল...
...তোমাকে সেভাবে সারাক্ষন
...আমায়...ধরে রাখতে হবে।