ঃ
বাতাসে শীতের গন্ধ পাও তুমি চন্দ্রীমা?
অক্টোবর শেষ, নভেম্বর চলে এলো!
এই সময় টা আমার সবচাইতে প্রিয়।
ঃ
আমারও।
লেপ মুড়ি দিয়ে ঠাণ্ডায় কুঁকড়ে থাকা সকালটা প্রিয়।
গায়ে ওম লাগানো নরম সূর্যটা প্রিয়।
ভেজা ঘাসে ঝুলে থাকা শিশির বিন্দুটা প্রিয়।
নির্জন দুপুরে বিছানায় শুয়ে, কাঁথা গায়ে তোমার কবিতা! আহ্!
ঃ
কবিতা শালাকে হিংসা হচ্ছে এখন!
আমি যদি কবিতা হতাম!
ঃ
কি করতে তুমি তখন?
ঃ
পুরো শীতকালটা বাঁচার জন্যে যতগুলি ওম দরকার,
...নিয়ে নিতাম তোমার কাছ থেকে!
ঃ
তুমি পাগল একটা!
ঃ
আচ্ছা তারপর বলঃ
দূপুরের পর কি তোমার প্রিয়?
ঃ
তোমার কবিতা পড়তে পড়তে ঘুম!
ঘুম থেকে উঠে বিষণ্ণ বিকেলে ধোঁয়া উঠা চা!
গোধূলি আলোতে মন খারাপ বারান্দায়
...তোমাকে ভাবা আর সাঁঝের আঁধারে গাল ভাসিয়ে কাঁদা!
ঃ
কাঁদবে কেন? আর সেটা ভালো লাগা হোল কেন!
ঃ
তুমি তো বুদ্ধু, আর, আমিই তো বুঝি না... বোঝাবো কেমন করে!
ঃ
বুদ্ধু! তার মানে তুমিও!
আচ্ছা বলো, সাঁঝের পরে আর কি ভালো লাগে?
ঃ
ভালো লাগে জ্যোৎস্নার বন্যা!
ভালো লাগে তারাভরা আকাশ!
আমাবস্যার ঝিঁঝিঁ ডাকা রাত!
সব কাজ শেষে বুদ্ধুর মুখ থেকে ভালবাসার কথা!
বুদ্ধুর স্বপ্নকে বুকে নিয়ে নিজের স্বপ্ন গড়া!
আর সেই স্বপ্নে বুদ্ধুর বুকে মুখ ডুবিয়ে
...পুরোটা জীবন পার করে দেয়া!