সেদিনের বিকেলটা ছিল বেগুনিগন্ধা।
তুমি বলেছিলেঃ পাগল!
বেগুনি রঙের গন্ধ কি করে হয়?
আমি তোমার সোনালী শরীরে মৌমাছির দাগ এঁকে বলেছিলামঃ
এবার গন্ধ নিয়ে দেখতো পিপীলিকা!
তুমি ভয় পেয়েছিলে সবাই জেনে যাবে ভেবে!
প্রতিশোধও নিয়েছিলে।


ধানমণ্ডি লেকের পাড়ে
শাকিলদের সেই বাড়িটা এখনো আছে।
গ্যারাজের সেই রুমটা আর নেই।
ছ’ তলা এপার্টমেন্ট দাঁড়িয়ে আছে
আমাদের সেই স্মৃতি-ঘরে।


সেদিন বাতাস ছিল...
বিকেলের মরা রোদে তুমি যখন চলে গেলে,
আমি হেঁটেছিলাম অনেকটা পথ।
ঢাকার ধূলায় শীতের মায়া ছিল, আর
পুরো আকাশটা ঢুকে গে’ছিলো বুকের ভিতর!


রাতের স্বপ্নে তুমি উড়ে এসেছিলে
সেই আকাশে – আবারো!
তোমার প্রতিশোধের দাগে হাত রেখে বলেছিলেঃ
মনে রাখবে কি আমায়?
তোমার চোখের কোনায় জলের দাগের
মানে বুঝিনি তখনো!
শুধু অজানা ভয়ে মৌমাছি হয়ে দংশন করে গেলাম!


আমি যখন মৌমাছির স্বপ্নে বিভোর
তুমি তখন পাখি হয়ে উড়ে গেলে
কোন অচিন দেশে!
এরপর,
কত খুঁজেছি তোমায়!
“বুকের মধ্যে ঢুকে যাওয়া সেই আকাশের কান্না,
তোমার বেগুনিগন্ধা শরীর আর প্রতিশোধের দংশন”
নিয়ে ...বিশটা বছর আমার মরুভুমি হয়ে গেল!
...
তারপর এই হটাৎ দেখা!
ভালবাসার সেই মায়াবী বিকেল থেকে
বিশটা বছর পরে,
আমাদের সেই ভালবাসার ঘর থেকে
হাজারো মাইল দূরে,
তুমি ঠিক তেমনি আছো পিপীলিকা!


অচিন এই দেশ গত দশটা বছরে
নিজের হয়ে গেলো!
আর
যে ছিল নিজের,
সে শুধু স্মৃতিতে
পিপীলিকার দংশন হয়ে রইলো...
বিশটা বছর, আজও, এবং
প্রতিদিন।