সেদিন বৈকালে, তুই যখন আমারে ডাকলি,
ভাবসিলাম তুই কইবিঃ আমার ভালবাসনের কাম নাই!
ভাবসিলাম তুই কইবিঃ বামন হয়্যা চান্দের দিকে হাত বাড়ানের কাম নাই!
ভাবসিলাম তুই কইবিঃ আমারে আর জ্বালাইবানা, খবরদার!
তার বদলে তুই কইলিঃ এত্তদিন লাগলো!
আমি কইসিলামঃ তুই জানতি!
তুই আমার চক্ষের দিকে তাকায়্যা বলসিলিঃ
মাইয়্যা মানুষ পুরুষের চক্ষু দেইখ্যা বলতে পারে।
আমি বুকার মতন জিগাইসিলামঃ কি বলতে পারে?
তুই চক্ষু নামায়্যা বলসিলিঃ কোনডা ভালবাসা আর কোনডা লোভ!
আমি জিগাইসিলামঃ আমার চক্ষে কি দেখসশ তুই?
তুই পালায়্যা যাইতে যাইতে কইসিলিঃ দুইডাই!
...
তরে দেখনের লাইগ্যা হেই নিম গাছটার তলে
আমার বাঁশী লয়্যা বইসা থাকতাম।
আমার বাঁশীর সুর তরে টাইনা আনতো!
...মাঝে মাঝে দেখা দিতি।
দূরের বট গাছটার তলে খারায়্যা এইদিকে চায়্যা থাকতি!
আমার চক্ষুটারে তুই ক্যামনে দেখতি দূর থেইক্কা?
তুই কি বুঝতি এই চক্ষে কি আসিলো?
...
আচানক একদিন কাছে আইসা কইলিঃ
আমারে নিয়া চলো তুমার লগে!
আমি ঠাডা খায়্যা কইসিলামঃ কই যাবি?
তুই কইসিলিঃ যেইখানে তুমার ঘর!
আমি কইসিলামঃ সত্যই যাবি তুই!
হেরপরে, তোর কাছে দুইদিনের সময় চাইসিলাম!
...
তর কাছে আর যাওন হয় নাই আমার!
সেই রাইতেই অরা আইসিল আমার ঘরে,
দাও দিয়া কোপ দিতাসিল যখন...
আমি ভয় পাই নাই, ব্যাথা ও পাই নাই!
কেমুন জানি কষ্টের ভিতর দিয়্যা আবার উইঠ্যা বসসিলাম!
দৌড়ায়্যা তর কাছে আসতাসিলাম যখন
...তখনই শুধু বুঝবার পারলামঃ
আমি এখন উড়তেও পারি!
তর কাছে আইতে চাইলে,
কেউ আর আটকাইবার পারবো না আমারে!
...
তরে আমি এখন ও দেখি
ওই বট গাছের তলে খারায়্যা...
এই নিম গাছডার দিকে তাকায়্যা থাকতে!
এখন আমি খুব কাছ থেইক্যা তরে দেখবার পারি।
...চক্ষুডা আর চক্ষের জলডাও!
তুই ত আমারে দ্যাখতে পাস না,
তয় কি খুজস এইহানে!