ধ্রুব? আছো?
কোথায় ছিলে তুমি?

চন্দ্রীমা!
এত্ত ভোরে ফোনে!  এখনো তো সকাল হয়নি!

জানি।
উঠেছি তোমাকে ধরতে।
পালিয়ে বেড়াচ্ছ কেন? কি হয়েছে তোমার?

পালাবো কোথায় মেয়ে?
সারাক্ষণই তো থাকি তোমার পথে চেয়ে!

তবে?  কাল?
কোথায় ছিলে লুকিয়ে!
কোথাও দেখিনি তোমায়!

জ্বর ছিল। সারাটা শরীর ব্যাথা!
সাথে মাথার ভিতরে তুমি,
আর ছিল...আমার অদ্ভুত অস্থিরতা!

বলোনি কেন আমায়? পর কেন হয়ে গেলে?
কি হতো আমায় তোমার... ব্যাথাটার ভাগ দিলে?

রাগ কোর না চন্দ্রীমা।  তোমাকে অস্থির করতে চাইনি!
এম্নিতেই তো কত জ্বালাই,
একটা দিন...তোমাকে দূরে রেখে
সুখী রাখতে চেয়েছিলাম...তোমার সংসারে!

এখন কি মনে হচ্ছে তোমার?  আমি কি সুখে ছিলাম?
তুমি খুঁজনি আমায় ধ্রুব!
...সেই কষ্টের ব্যাথা তোমার জ্বরের চেয়েও বড়।

ভূল হয়ে গেছে দেবীঃ আমাকে ক্ষমা করো।
প্রলাপ বকেছি জ্বরের ঘোরে, মাথাটাও ধরে আছে!
তুমি বলোঃ তুমি কেমন ছিলে?

ভালো রাখলে কোথায়?
এখন উঠো, দরজাটা খুলো।
কাল সারা রাত ঘুমাতে পারি নি তোমার জন্যে!
সকালে বাসা খালি হতেই, খুঁজতে বের হলাম।
দরজা খুলো। ঘুমাবো আমি।

মানে?

আগে আমার ওষুধ নিবো।
তোমার বুকে মুখ ডুবিয়ে...ঘুমাবো।

আর আমার?  আমার কি হবে?

আমি ঘুমালে পরে, তুমি তোমার অস্থিরতার
ওষুধ নিয়ে নেবে!