সেদিন বিকেল বেলায়, দাঁড়িয়ে ছিলাম
নিউ মার্কেটের মোড়ে, রাস্তা পার হবার আশায়।
হঠাৎ তোমাকে দেখলাম!
তুমি যাচ্ছিলে, স্বামীর পাশে বসে।
আমাকে দেখলে, না দেখার ভান করে!


সারাটা বিকেল মাটি হয়ে গেলো আমার!
যদিও তুমি করেছো যা করার কথা ছিল।
তবু, কেমন এক অজানা ভয়ে ভিতরটা কাঁপছিল!
বুকের ভিতরে ক্রমাগত, কি জানি কি পুড়ছিল!


যে আমার জানি, সে থাকে অন্যের সাথে!
যে আমার জানি, সে চলে যায় অন্যের পাশে বসে!


আমার অসহায়ত্ব আমাকে পাগল করে দিচ্ছিল।
ইচ্ছে হচ্ছিলোঃ হরতাল ডাকি, তোমার গাড়িটা ভাঙচুর করি,
আর তোমাকে টেনে নামিয়ে বলিঃ
বুকে হাত দিয়ে বলতো নারীঃ তুমি আমাকে চেন না!


রাতে তুমি যখন অনলাইনে এলে, এবং আমাকে ডাক দিলে,
আমি ইচ্ছে করেই জবাব দেই নি।  
সিগারেটের সাথে পুড়েছি সারাটা রাত!
তোমার সেই “না-চেনা” চোখ তাড়িয়ে বেড়িয়েছে আমায়!
তুমি হবে না আমার জানি, তবু
এভাবে বুঝিনি আগেঃ আমি কত অসহায়!


পরের দিনটাতেও, পুড়েছি অদ্ভুত সেই জ্বরে!
এড়িয়ে গিয়েছি তোমার সব ডাক গুলো।
চাইনি তুমি দেখোঃ এক হিংসুক ধ্রুবটাকে!
...


চন্দ্রীমা, তুমি তো দেবী... যে জানে আমার সবই!
ঠিকই তুমি বুঝতে পেরেছিলে!
আমি যে জ্বলছি জেনেই আজ...
আমার অস্থিরতার ওষুধ নিয়ে এলে!
তোমার ছোঁয়ায় জ্বলন্ত মরুভুমি-বুকে বৃষ্টি নামলো,
ঈর্ষার আগুন নিভে গিয়ে ঝড় আমার, শান্ত হলো।


আজ শুধু দেখবো তোমার এই... ঘুমন্ত দেবী-মুখটা,
তোমার মায়াবী-গন্ধে ভরা আমার এই ঘরটা...
আহ্!
...


ঘুমাও তুমি চন্দ্রীমা
আজ তোমাকে তছনছ করবো না।