সেদিন কেমন বিষণ্ণ ছিল তোমার চোখ
কিওক্রাডং এর মতো কষ্ট ছিল কি বুকে!
এক সমুদ্দূর দূরে বসেও দেখেছিলাম তোমার
বিষাদমাখা দীর্ঘশ্বাসের দীর্ঘ জোয়ার-ভাটা!


তোমার বিষন্নতা অস্থির করছিলো আমায়!
ইচ্ছে হচ্ছিলো এক দৌড়ে পার হয়ে যাই সমুদ্দূর!
তোমার হাতটাকে ধরে বলিঃ আমাকে বল!
তোমার মায়াবী-দুঃখি মুখটাকে ছুঁয়ে বলিঃ আমাকে দাও!


দূর থেকে দেখা সেই চোখের ভাষায় কি যে ছিল!
তোমার অস্থিরতায় অস্থির কেটেছে আমার সারাটারাত!
তোমার বিষাদ, বুকের ভিতরে ঝড় তুলে গেছে, রেখেছে নির্ঘুম!
ভোর রাতের স্বপ্নে তুমি যখন পার হয়ে এলে সমুদ্দূর,
আমি শুষে নিয়েছিলাম তোমার মায়াবী বিষাদ!
আকণ্ঠ পান করেছিলাম তোমার কষ্টের পাহাড়!
আর, তোমার মাতাল গন্ধে ভেসে গিয়েছিলাম...
আমার বিষাদ সিন্ধুর ভিতর থেকে, তোমার আলোকিত ভোরে!


বেদনার্ত রাত পার হয়ে আমি দাঁড়িয়ে আছি তোমার দরজায়,
আমাকে দেখা দাও, বিষাদের তালাটা সরিয়ে দরজাটা খুলে দাও,
আমার সমুদ্দূর-ভরা দুঃখী এই চোখে একবার তাকাও,
বলো...তুমি কেমন আছো দেবী?