মাঝে মাঝে আমি, শুনি নিঃসীম-অনন্তের ডাক!
        অতিদূর কোন মহাশূন্য-পাড় হতে রেডিও-সিগনালগুলি
        ভেসে আসে, ঢুকে পরে মস্তিস্কের রন্ধ্রে রন্ধ্রে!
আমার পৃথিবীটা মহাসমূদ্রের মতো বিস্তৃত হয়,
        গ্রাস করে চারপাশ, এবং
        সুনামির ঢেউগুলি হয়ে আঘাত করতে থাকে
        আমার চেতনাকে ...একটার পর একটা!
চেতনাশূন্য আমি ...বুঝতে পারি না কি হচ্ছে চারপাশে!
        কে যায়, কে আসছে!  শুধু অনুভব করতে পারি
        এক অসীমের ক্ষমতাকে ...যা ডাকছে আমায়
        ...ক্রমাগত, প্রতিটা ঢেউ এর সাথে!


দূর দিগন্ত থেকে ভেসে আসা সেই ডাক
        দখল করে নেয় আমার অস্তিত্বকে!
        আমি খুঁজতে থাকি সেই জমিন!
                খুঁজতে থাকি তার উৎস!
        কিন্ত, ওখানে তো কোন জমিন নেই!
                ওখানে তো মহাশূন্য!
মহাশূন্য আমাকে টেনে নেয় আরো শূন্যের ভিতর!
        ভাসতে ভাসতে আমি খুঁজতে থাকি তার অন্ত!
        কিন্ত, শূন্য তো শূন্য নয়!
                ওটাতো ঘুরন্ত এক চরকি!


আমি খুঁজতে থাকি উৎসকে,
        অসীমের অন্তকে, চরকির সমাপ্তিকে!
        বারবার ধোঁকা খাই ...পৌঁছে যাই একই জায়গায়!
        জীবন চলতে থাকে, জীবন কি আগায়!
        জীবনের ভিতরে বসে, জীবনকে কি চেনা যায়!


বের হয়ে যখন আসি,
দূর থেকে যখন দেখি,
তখনই শুধু বুঝিঃ
        যেটা ভেবেছিলাম গন্তব্য,
        সেটা আসলে সেটাই...
        যেখানে শুরু করেছিলাম আগে!