তোমাকে আমি চিনি গান্ধারা কুমারী...
সেই কবেকার তক্ষশীলার মতো পুরনো এবং পরিচিত!
রিকবেদের চাইতেও পুরনো আমি দেখেছি তোমায়, বার বারঃ
কখনো শাকুনির চোখে, কুরুক্ষেত্রের ও আগে,
কখনো সোয়াতের তীরে দারিয়াসের দাসেদের ঘরে,
কখনো বিতাড়িত গ্রীকদের পেছনে ছুটে যাওয়া মৌর্য-সেনাদের পাশে,
বাক্ত্রিয়ান আর সাকাসের মতো হাইব্রিড প্রভূদের উৎখাতের ষড়যন্ত্রে,
রাজাদের রাজা কুশানের পাশে, এবং হুন দস্যুদের হাতে ছারখার হওয়া জনপদে!


গান্ধার থেকে রাওয়ালপিন্ডির সেই হাজার বছরের যাত্রাপথে,
আমি দেখেছি তোমার জিঘাংশা, প্রতিহিংসা, বেশ্যাত্ত, হত্যাযজ্ঞের উন্মত্ততা,
তোমার জল, স্নেহ ও প্রেমের জন্যে কাঙ্গালিত্ততা!
পরাজয়ে, অপ্রেমে ও অবহেলায় তোমার আসহায়ত্ত ও দেখেছি আমি।
আমি দেখেছি তোমার ক্ষমতাঃ মূগ্ধায়ন, বশীকরন, অর্জন,
তোমার স্বার্থপর আগ্রাসন, প্রেমে ও ছলনায় আত্মসমর্পণ!
বিজয়ে, প্রেমে ও সন্মানে তোমার চোখের তারার ওই উজ্জলতাটাও দেখেছি আমি।
...
ভারতেশ্বরী,
তোমার নারীত্বে মূগ্ধ দ্রাবীড়-পুরুষ আমি,
আবহমান কাল ধরেই ভালবেসেছি তোমার ঐতিহাসিক সব বিজয় ও ব্যর্থতা কে।
ওই হাইব্রিড আর্য পুরুষেরাঃ উত্তর থেকে আসা নীল চোখা গ্রীক উচ্ছিষ্টরা,
পশ্চিম থেকে আসা ধর্মান্ধরা, কিংবা পূর্বের বর্বর হুন দস্যুরা,
...তোমার যোগ্য নয় কেউ।  দক্ষিন এর উর্বরা পলিমাটি থেকে উঠে এসেছি
সাঁওতাল পুরুষ আমি, শরীরে বিশুদ্ধ দ্রাবীড় রক্ত, আমি ই শুধু যোগ্য তোমার।

এসো তুমি গান্ধারী রমণী,
সোয়াতের তীর থেকে মেঘনার মোহনা পর্যন্ত হবে আমাদের মিলণ-ভুমি,
এসো...
দ্রাবীড় রক্তে বিশুদ্ধ করে নেই আমার বঙ্গপসাগর থেকে তোমার গান্ধারা।
এই ভূভারত হবে আমাদের, সমগ্র ভারতবর্ষ হবে আমাদের বিচরণ ভুমি।