এক সূর্যের প্রসব বেদনার চিৎকার শুনে জেগে উঠেছিলাম;
অন্ধকার গহ্বরে তলিয়ে যাওয়া চেতনা
নিস্তব্ধতা আর নির্মম সত্যের উম্মোচন হয়েছিল।
পৃথিবীর পথে নেমে আসা মৃত্যু
আর উর্ধে উঠে যাওয়া জীবনের শেষ প্রদীপ ;
নক্ষত্রের খসে পড়া চন্দ্রের অবলিপ্ত অবগাহনে
আমি নিষ্পেষিত অনন্ত মৃত্যুর কোলে শুয়ে-
যাচনা করি নিশ্চিত সেই মৃত্যুর সাথে মিশে যেতে।
হে তেজস্বী সূর্যের কিরণময়ী
তুমি চন্দ্র বুকে মাথা রেখে
হৃদয়ে যে মৃত্যুর স্থির শান্তি রয়েছে;
জীবনের সকল ক্লান্তি যেখানে এসে থেমে যায়;
যার অভিলাষে সকল দুঃখ কষ্ট মুছে যায়;
সেই সূর্যের প্রসব বেদনার চিৎকারে আমি জেগে উঠেছি।
হঠাৎ সূর্যের আলোয় নিজেকে পেয়েছি জীবন্ত মানুষ
অন্ধকারে দাবিয়ে বেড়ানো অজস্র চিৎকার;
অজস্র হাতের ডাক যেন দিয়ে যায়;
জানি আমি কারা সেই হাত;
কাদের চিৎকারে ছিলাম হাজারো বছর ঘুমিয়ে।
আমি বুঝতে পেরেছি সত্যের উম্মোচনে
ভয়ে, অসীম দুর্নিবার বেদনার সেই চিৎকার;
নক্ষত্রের খসে পড়া তারা, যেন জানিয়েছে সেই বার্তা।
যেখানে দুঃখ,বেদনা,সংঘর্ষ, চিন্তা-চেতনার অবসান
সেখানেই বিস্তৃততর আকাশের সকল গ্রহ-নক্ষত্রের আনাগোনা।
আমি জেগে উঠেছি হাজারো বছর অন্ধকার ঘুম হতে
নির্জন নিস্তব্ধতা সেই ভাষার বহিঃপ্রকাশ
এই সব ভয়াবহ আরতির অন্ধকারে
সূর্যের প্রসব বেদনার চিৎকার সবাই শুনবে
একদিন সবাই আমার মতো করে জেগে উঠবে।