ঝড় নেমেছে উত্তাল হাওয়া বইছে
উলটপালট রাষ্ট্রের যন্ত্রাংশগুলো
জ্বর উঠেছে শরীরে রক্তে তার নিনাদ
কে তুলেছে কণ্ঠস্বর? কিসের এতো হাহুতাশ?
তারা জীর্ণ,স্থূলদেহের মাংস খুলে পড়া জাতি
তারা ধর্ষকের লেবাসপোরস্তি নরখাদক।
রাষ্ট্রের ধ্বংস আনা খুব প্রয়োজন...
যেন জন্ম নিতে পারে নব সভ্যতার
ক্রান্তিকালের সেই পুরুষ যে মানুষ
যে ভালো ও মন্দের বিচার করে না
মূল্যবোধের চর্চা না করে মূল্যায়ন করে...
মানুষের নৈতিকতার মাপকাঠি ছুঁড়ে ফেলে
শৃঙ্খলিত করে জ্ঞান বিকাশের মধ্য দিয়ে
ধর্মের নামে, নিয়তির নামে, খোদার অনুকম্পাতে
যে তকমা দিয়ে তারা অনুশাসন বাস্তবায়ন করে
বিশ্বাস নেই এসব ভীরু কাপুরুষ নীতিকর্মে
যা দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বাসের অন্ধত্বের উপর
যেখানে অন্ধ হয়ে জড়িয়ে ধরে ঈশ্বরকে
অবনত হয়ে যায় তার শিঁড় আর হয়ে যায় মুখবন্ধ;
মায়ের উদর ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা নরখাদক
নিরব হয়ে বসে থাকা তথাগত জ্ঞানী
আর চপ্পল হয়ে বীর পুরুষের চিৎকার;
সব যেন ভীরু কাপুরুষ দোজখের ভয়...
শরীরে ও মনে যে ঘৃণা আর ক্রোধ উদ্ধত
যে তকমা তাকে ভালোত্ব বহন করে
আমি তাদের লেবাসপরস্তি নরখাদক বলি
যে দেখে,শুনে ও বলে কিন্তু প্রতিঘাতের শক্তি নেই
ক্ষমতার ইচ্ছের কাছে যে মাথা নুয়ে ফেলে
সে শয়তানের প্ররোচনা বলে লেবাস ধরে
আমি তাদের পিতা হিসেবে গ্রহণ করি না।
মৃত্যুর অনির্বাণ মুক্তি জীবনের ভীরুতা হলে
আমি তার বৈপরীত্যে দাঁড়ানো এক প্রশ্ন..!
যে ভালো-মন্দ, নৈতিকতা আর মূল্যবোধে
ধর্মের দোহাই আর খোদার তকমাতে বসে থাকে না...
নিজের ক্ষমতার ইচ্ছে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্ব বহিঃপ্রকাশে
আমি সবার উর্ধ্বে বোধগত শব্দেন্দ্রিয় হতে
যা বলি এতসব সত্যের সংঘাতে তোমার পরিচয়
সবাই তা বুঝতে সক্ষম নয় রাষ্ট্রের ইচ্ছে
প্রসব বেদনাতে শুয়ে থাকা মায়ের উদর
নরখাদকে ছিন্ন হয়ে থাকা মেয়েমানুষেরা
তারা রাষ্ট্রের দ্রোহে চিৎকার করে উঠে
উত্তাল ঝড়ে তীব্র তুষারপুঞ্জ জমাটবদ্ধ হয়ে
রাষ্ট্রের শরীরে জ্বর উঠেছে রক্তে তার নিনাদ
রাষ্ট্রের ধ্বংস হওয়া খুব প্রয়োজন...
যেন জন্ম নিতে পারে একটি শিশু।