আজ আমি ঈশ্বরকে প্রশ্ন করেছি—
তুমি শেষ কবে কেঁদেছিলে?
কবে দেখেছিলে গরিবের ঘরে আগুন,
আর ভেতরে কেঁপে উঠেছিলে সত্যি করে?

তুমি কি সত্যিই ভালোবাসতে ঈসাকে,
নাকি সে ছিল তোমার নিঃশব্দ এক বিজ্ঞাপন—
এক ফোঁটা রক্তে পাপ ধুয়ে ফেলো তুমি,
আর আমরা মরলে বলো, “পরীক্ষা!”
আজ আমি ঈশ্বরকেও ছুঁড়ে দিয়েছি চ্যালেঞ্জ।

জ্বলে উঠুক ঈশ্বরের নাম লেখা পতাকা,
জ্বলে উঠুক প্রেমিকের কবিতায় ভরা চিঠি—
কারণ বিপ্লব আর প্রেম এক পথে হাঁটে না।
প্রেম চায় অধিকার,
বিপ্লব চায় ভাঙন।
প্রেম খোঁজে প্রার্থনা,
বিপ্লব আনে সিদ্ধান্ত।
এখানে আর কেউ চুমু খেয়ে প্রতিজ্ঞা করে না—
এখানে প্রতিজ্ঞা করা হয় আগুনে!

আমি প্রেমিককে বলেছি—
তোমার চোখের জল যেন আকাশকেও না ভেজায়।
তোমার “ভালোবাসি” শুনে আমি হেসে উঠি।
তোমরা ভালোবাসো বাঁচার জন্য,
আমি ভালোবাসি যেন মরতে পারি নির্ভয়ে!

চলো, বুলেটে ভরা বাক্য গড়ি—
যে শব্দে ভেঙে যাবে মিথ্যার গরিমা।
চলো ভেঙে ফেলি সেই স্কুলের মূর্তি,
যেখানে শেখানো হয় “ধৈর্য”, “ক্ষমা”, “বিরহ”—
এসব শব্দে গৃহপালিত হয়ে যায় মানুষ।
এবার শেখাও “আঘাত”, “অস্বীকার”, “অগ্নিপথ”!

আমি গড়তে চাই এক নতুন ঈশ্বর—
যে ঈশ্বর রক্তে হাত ডুবিয়ে বলে,
“মানুষকে রক্ষা করো, নয়তো ধ্বংস করো দানবকে।”
যে প্রেমিক বিশ্রাম চায়, তাকে দিও না ক্রুশ—
তাকে দাও প্রশ্ন, দায়, এক অগ্নিময় বিপ্লব।

আজ আমি মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে বলেছি—
“ভয় পাই না, কারণ আমি নিজেকেই জন্ম দিয়েছি।”
যা মৃত, তাকে কবর দিও না—
তার ছাই দিয়ে লিখে ফেলো এক নতুন গান।

বিপ্লব আর চুম্বনের দ্বন্দ্বে,
আমি চুম্বনকে করেছি পরাজিত।
আজ আমার নাম প্রেম নয়,
নয় ঈশ্বর কিংবা ক্ষমা—
আজ আমার নাম মানুষ।
আমি হচ্ছি তার ক্ষোভ, তার বিদ্রোহী, ছেঁড়া কণ্ঠস্বর।