আমি আর প্রেমিক নই—
আমি এখন মৃত্যুর মুখ, আগুনের ভাষ্যকার।
যেখানে আমি পা ফেলি,
সেখানে ভেঙে পড়ে ঈশ্বরের মন্দির,
মুছে যায় মায়ের সিঁদুর, শিশুর প্রথম হাঁসি স্তব্ধ হয়ে যায়।
আমি কোনো ক্ষমা চাই না,
আমার শব্দে পিষ্ট হয়ে মরুক কবিতার ফুলঝুরি।

আমি এসেছি শুধু পুড়িয়ে দিতে—
নগর, নীতি, নৈতিকতা,
বিশ্বাস, প্রেম, প্রার্থনার টিকে থাকা ধূলিকণা—
সব পুড়বে আমার এক পঙ্‌ক্তিতে।

আমি রক্ত দিয়ে খেলি,
রক্তচাপের ভাষায় লিখি নতুন সংবিধান।
সেই সংবিধানে নেই মানবতা,
আছে— সিদ্ধান্ত, দণ্ড, ধ্বংস।

যদি তুমি সত্যিকারের মানুষ হও,
তবে তুমি আমাকে ভয় পাবে।
আমি বিপ্লবের হিমবাহ,
পাথরের মতো ঠান্ডা— কিন্তু পাহাড়ভাঙা শক্তি।
আমি কারাগারে পিষে ফেলি প্রেমিকদের,
মঞ্চে ঝুলিয়ে দিই কবিদের,
আমি মায়াকেই ধর্ষণ করি—
কারণ এই মায়াই মানুষকে
বারবার ফিরিয়ে আনে ক্ষমা আর দুর্বলতায়।

আমি এসেছি না তোমার ঘরে আগুন দিতে,
আমি এসেছি মাটির গভীরে লুকিয়ে থাকা
ভয়, বিশ্বাস আর ভ্রান্তির শিকড়গুলোকে জ্বালিয়ে দিতে।
যে সভ্যতা গড়া হয়েছে ধর্ম, স্বপ্ন আর নিঃশব্দ ভয় দিয়ে,
তাকে ধ্বংস করে আমি গড়বো এক ভয়ংকর শূন্যতা।
সেই শূন্যতাই আমার প্রেমিকাকে শেষ চুম্বন—
সেই শূন্যতা থেকেই জন্ম নেবে
নতুন এক আগ্নেয়গিরি,
নতুন এক মানুষ—
যার চোখে জল নয়,
আগুন জ্বলবে।

আমাকে থামাতে এসো না।
তোমার কবিতা কিংবা প্রার্থনা দিয়ে আমাকে আটকে রাখা যাবে না।
আমি ঈশ্বরের সেই শেষ কান্না—
যেটা মাটিতে পড়েই জ্বলে উঠেছিল
বিপ্লবের আগুনে।