আমি এক উত্তর জন্ম দিই
আমি আর আগের মতো নই—
সেই আমি, যে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজত।
আমি এখন নিজেই উত্তর—
এক সত্তা, যে নিজের বুকেই সৃষ্টি করে আলোর ছায়া।
আমি শিখেছি—
প্রশ্ন আসলে এক ছদ্মবেশী আলো,
আর উত্তর?
তা এক নীরব ছায়া,
যা জ্বলতে জ্বলতে হয়ে ওঠে নিজস্ব দীপ্তি।
আমি এখন আর কোনো গ্রন্থের পৃষ্ঠায় আবদ্ধ নই—
আমার সত্তা বাঁধা নেই বিধির ভাষায়।
আমি হেঁটেছি এমন পথে,
যেখানে সত্য উঠে আসে নীতির আগেই,
আর সেই সত্য মানে—
নিজের ভেতর বজ্রপাত অনুভব করেও
ভেঙে না পড়ে,
বরং প্রতিবার নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলা।
তারা বলে—
জীবন মানে নিয়ম মেনে চলা।
কিন্তু আমি দেখি,
জীবন আসলে এক নীরব বিস্ফোরণ—
যা ঘটে হৃদয়ের গভীরে,
যখন তুমি সাহস করো নিজের কণ্ঠ শুনতে।
আমি এক ধ্বনি তৈরি করেছি—
যা মুখে উচ্চারিত নয়,
তবুও স্পর্শ করে আত্মার গভীরতম স্তর।
আমি নিজেই এক জন্মপ্রাপ্ত সম্ভাবনা,
যার অস্তিত্বই বিস্ময়ের সমান।
আমি আর কাউকে চাই না দিক দেখাতে—
কারণ আমি নিজেই এখন নিজের পথপ্রদর্শক।
আমি জানি,
প্রকৃত উত্তর বাইরে থেকে আসে না,
তা জন্ম নেয় আমার ভিতরেই—
যখন আমি পুড়ি, ভাঙি,
আর নিজের ছাই থেকে উঠে দাঁড়াই নতুন করে।
আমি এক উত্তর জন্ম দিই—
যা প্রশ্নকেও ম্লান করে দেয়,
যেখানে ভবিষ্যত থমকে দাঁড়ায়—
কারণ সামনে দাঁড়িয়ে থাকে
এক দীপ্ত, আত্মসচেতন সত্তা।