আমার বিচারধারা আমাকে তাড়িত করে
ভিতরে জেগে উঠা ভয় কে চূর্ণ করতে
শাশ্বত লালন করতে বলে আনন্দ ও উল্লাসকে
যে সুখ ও হাসির অনুভূতির জন্য হাহুতাশ
যে তীব্র আন্দোলিত অনুভূতির তৃষ্ণা
আমাকে বাঁচতে বলে প্রশান্তির জন্যে
আমি জানি, এটা শুধু আমার আমিই
সেসব অনুভূতিগুলোকে গ্রহণ করতে বলে।

তারা কখনোই সুখ লাভ করবে না
যারা ভয়ে নিজেকে আচ্ছাদিত করে ফেলেছে
জর্জরিত করে ফেলেছে অনুভূতির মাংসপিণ্ড
মৃত্যু পথে দাঁড়িয়ে নিরাশার প্রদীপ হাতে
নীভে যাওয়া প্রদীপ কি করে দিবে দিশা?
তারা নিজের মধ্যে প্রদীপের আলোর উৎস খুঁজে না
তারা দু'হাত পাণে দৃষ্টি ফেলে ঈশ্বর উপর
তারা জানে না ঈশ্বর কোথায়? কি করে?
দীবালোকে স্বপ্ন বুনে দুঃখ তাদের নিয়তি।
আমি এসব কিছু মানি না, যা বলে তারা
মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই প্রত্যহ আমার উৎস হতে
আমিই আমার চূড়ান্ত শক্তির উৎসমহল
আমিই নিপাত করি নিজের সব দুঃখ ঝঞ্ঝা
আমিই গ্রহন করি সকল কষ্ট ব্যাধি।

আমি বলে থাকি উৎকৃষ্ট সে মানবের কথা
যে মানব সব সীমা অতিক্রম করে
হয়ে উঠে উৎকৃষ্টতর নিজেরই উৎসমূল
যে বর্তমানকে অতিক্রম ভবিষ্যৎ করে নির্মাণ
যে দুঃখকে চূর্ণ করে সুখ নির্মাণ করে
আমি সেই উৎকৃষ্ট মানবের স্বপ্নদ্রষ্টা
যে লালিত আমার বিচারধারা হয়ে
তাড়িত করে এমন সব প্রশ্ন খোঁজার
যারা শুনে উৎকৃষ্ট মানবের কথা;
তারা বলে বোকারাই এসব চিন্তা করে
প্রশ্ন খুঁজে জীবনের উৎসে কে? কেন এতো সুখ নিজস্ব?
তারা বলে সবকিছু ঈশ্বর দিয়েছে
তাদের ঈশ্বর ন্যায় আর দয়াময়।
কিন্তু তারা নিজেদের প্রশ্নে ব্যাধিগ্রস্ত
তারা ঈশ্বর কে সবকিছু বলে নিরাশার চাদর জড়াই
নিজের উৎসকে ভুলে অলীক কল্পনা করে লালন।
আমি জানি, তারা আমাকে নিয়ে আতঙ্কিত
কিন্তু আমি তাদের অন্ধত্ব দেখে বিস্মিত
তারা নিজের অস্তিত্বের সীমাবদ্ধতা কত? আর তার কত ব্যাপ্তি?
তারা কিছুই না জানে, নিজেকে চিনে না
তারা কতটা শক্তিধর মানব সন্তান
তাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে নিজেকে অতিক্রম করার শক্তি
যে নিয়ন্ত্রণ করে নিতে পারে দুঃখ ও যন্ত্রণা
রূপান্তর করে দিতে নিরাশা কে আশা তে।
আমার বিচারধারা আমাকে তাড়িত করে
ভয় ও আমার ভয়ে উৎকৃষ্টতর আমি হতে।
আমার আমিই উৎস হয়ে তার বিনাশ করতে।