আমার বিচারধারা আমাকে তাড়িত করে
প্রশ্ন করে উঠে,সত্যের উৎসমূলে কে দাঁড়িয়ে!
কে দাঁড়িয়ে আছে সত্য হাতে? সত্য যা চিরন্তন!
কে বলে সেই বাণী 'সত্য রয়েছে কেবল আমার হাতে!'
কিসের তাড়নায় ক্লান্তি এসে ভর করে শরীরে!
তৃষ্ণাতুর হয়ে পথিকের ন্যায় জল খোঁজে সে
মধ্যদুপুরের সূর্য যখন ঠিক মাথার উপরে
একটু বিশ্রাম আর ছায়া হয়ে উঠে তৃষ্ণার অমৃত।
ভুলে যায় সেই তৃষ্ণা আর শরীরে ভর করা ক্লান্তি
তখন মনে হয় সত্য বটবৃক্ষের ছায়াতলে নিবৃত্ত
ক্লান্ত শরীরে, তৃষ্ণার কাতরে সত্য অনাগত।
যে দুঃখবোধ খানিকটা পিড়িত করেছে তাকে
আমার অবিদিত আত্মা শুয়ে ছিল তার নিথর দেহ ফেলে
সুখের জন্যে! চিরন্তন সত্য উপলব্ধির পথে।
আমার বিচারধারা আমাকে তাড়িত করে
সত্যের প্রবাদবাক্য আমার উপলব্ধি পথে
আমার হৃদয়ের গহীন অভ্যন্তরে কেমন তার নিবাস!
কেমন সে সত্য হলো? কি করে সে চিরন্তন হলো?
কিসে হলো বিশ্বাসের নীভ আলোক জ্যোতির্ময়
ঈশ্বর কি আমায় দিলেন অ-ইচ্ছার কর্ম জয়!
ইচ্ছেশক্তির কিসে প্রয়োজন? কিসের প্রয়োজন সুখ?
সত্য যদি শুধু ঈশ্বর হয় মানব কি পূর্ণ সত্য নয়!
আমি জানি, সত্য রয়েছে মানব রূপে
যে জানে অবিদিত আত্মার ইচ্ছেই পূর্ণ সত্য
উপলব্ধির পথে দুঃখের নিপীড়িত কর্ম সে
ঈশ্বর খোঁজেন সত্য কোন অবিদিত আত্মা করেছে ধারণ!
কে সে? সত্যের উৎসমূলে নিজেকে করেছে রূপন!
উৎকৃষ্টতর মানব সে যে অতিক্রম করে নিজেকে
সুখ ও সত্যের রহস্য সে উৎসমূলে একান্ত সত্য সে!