আমার বিচারধারা আমাকে তাড়িত করে
অন্ধকার রাতের বুকে চাঁদের আলো প্রজ্বলন করি
কিন্তু চাঁদের কোনো নিজস্ব  আলো নেই
সে অন্ধকার রাতে পতিত উপগ্রহ মাত্র।
সে শুষে নিয়ে থাকে মাতৃস্তন হতে আলো
সূর্যের তেজোদৃপ্ত আলো যে জীবন ও মরণ করে দান।
আমি সেই জ্ঞানের কথা বলছি
যা চাঁদের বুকে আলো প্রজ্বলন করিয়েছে
রাতের বুকে উজ্জ্বল আলোর সৌন্দর্যরূপ
যা মানুষের বাহির ও ভেতরকার প্রকাশমান।

আমি জানি, চরিত্রের উত্তমরূপ পরিগ্রহ করা কঠিন
কিন্তু যা আজ উত্তম তার থেকে উৎকৃষ্টতর হও
নিজেকে নির্মাণ করো উত্তম ব্যক্তি ও রাষ্ট্রে
যে বিবাদ স্বাধিনতা আর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের
ওখানে নিজের নিকৃষ্ট রূপের পরিচয় থাকে।
যেখানে সবের কল্যাণ, চরিত্রের পরিগণন নেই
সেখানে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের নাম হলো পশুস্বাতন্ত্র্য।

আমার বিচারধারা আমাকে তাড়িত করে
রাতের প্রেম সংগীতের নিরব কথোপকথন
উত্তম সেই সময় যা অন্ধকারে জ্যোৎস্না দেখে
প্রকৃতির রূপ দর্শনে মানুষের জ্ঞানের পরিচয় ঘটে
তারকারাজির উজ্জ্বল আলোয় আকাশ আলোকিত
তবুও চাঁদের আলোতে সে প্রশংসিত
চাঁদ জানে স্তন হতে কিভাবে দুধ শুষে নিতে হয়
কিভাবে নিজেকে আলোকিত করে-
পৃথিবী কে  করা যায় আলোকময়
আমার বিচারধারা সেই জ্ঞানের কথা বলে তোমাদের।