তারুণ্যের দোলাচলে ফেব্রুয়ারি আসলো চলে
বায়ান্নের সেই দিনগুলো হলো স্মরণ সবার মনে।
কি হয়েছিল? কার সে রক্ত? কেমন ছিল সেইদিন?
ভুলে আছে সব ইতিহাস; উল্লাসে নগ্নপদে দেই পুষ্পমাল্য।
রফিক,বরকত,সালাম, জব্বার তারা কি সত্যি শহীদ?
পুষ্পমাল্যে নগ্নপদে উল্লাসে হয় কি তাদের সম্মান?
কে ছিল তারা? কেন দিল প্রাণ? কেমন ছিল তাদের আত্মসম্মান?
আমি তো দেখি তারুণ্যের হাতে পুষ্পমাল্য শহীদ মিনারে লুটিয়ে পড়া,
আমি তো দেখি তারুণ্যের উল্লাসে মেতে ওঠা আনন্দরস গান,
সঙ্গিতের কলরোল, তীব্র বাজনার নারীর নৃত্যগীত।
এই তো তাদের ভাষা যেন গাইছে হিন্দি, ইংলিশ সঙ্গিত।
কে বলে তাদের? জানে না তারা বাংলা মায়ের ভাষা।
অবাধ্য তারা, ভ্রান্ত তারা, ভুলে গেছে ভাষার মান।
শহীদের রক্তে অর্জিত ভাষা আজ করেছে অর্জন পুষ্পমাল্য দান,
জানে কি তারা? এই তারুণ্য দিয়েছে কতটা সম্মান?
আমি তো দেখি, ভাষার নামে উচ্চারিত হয় ইংলিশের গুণগান
ইংলিশ তোমরা জানলে ভালো হবে দেশে উচুঁ নাম।
এই তো আমার ভাষা শহীদেরা দিয়েছিল নিজ প্রাণ,
ভুলে ছিল তারা; আজ তারুণ্য দিবে শুধু পুষ্পমাল্য দান।
ভাষার চর্চায়, ভাষা প্রকাশে ভুলে আছে সব ইতিহাস।
কেমন ছিল সেই দিনগুলো? কেন দিয়েছিল প্রাণ?
ভাষা ছিল তাদের আত্মসম্মান,ভাষা ছিল মায়ের প্রাণ।
তারুণ্যের দোলাচলে ফেব্রুয়ারি আসলো চলে,
বায়ান্নের সেই দিনগুলো হলো স্মরণ সবার মনে।