দেখো, কতো ঝড়ে পড়া ফুল
আর তার মাঝে ফুটে উঠা জীবন।
যেখানে একসময় মৃত্যুর ছিল আবাস
সেখানে আজ হয়ে উঠেছে জীবনের উদ্যান।
আজিজ! মনে রেখো, মৃত্যু ভয়ের আস্বাদন-
যদি মানুষের না হতো
তাহলে জীবনের আকর্ষণ তারা হারিয়ে ফেলতো।
তারা নিজেকে মহাজ্ঞানী, মস্ত কিছু মনে করে।
মহাসমুদ্র নিয়ে চলে কিন্তু-
নোনাজলের একবিন্দু ভুলে যায়।
তারা ভুলে যায়; বিন্দু বিন্দু নোনাজল মহাসমুদ্রের উত্থান ঘটায়।
আমি যন্ত্রণা ও ভালোবাসা দুটিই দেখেছি।
দেখেছি প্রেমের অপরূপ সৌন্দর্য।
সেই সৌন্দর্য্যের ধ্যানে নিজেকে করেছি মগ্ন।
তাই তো আমার ভিতর শোভাময়ী সুঘ্রাণ
যা বয়ে চলে আমার আগামী কবরের ভিতর।
বেঁচে থেকেই যন্ত্রণাকে লালন করে যেতে হয়
মুক্তি নেই যদি না এসে ডাকে মৃত্যু।
মৃত্যুর সৌন্দর্যরূপ জীবনকে আরও সুন্দর মনে হয়
যদি না হতো মৃত্যু তাহলে জীবনের সব ম্বাদ লোপ পেত।
নিদারুণ সেই যন্ত্রণা বয়ে চলি অজস্র যন্ত্রণাকে ডেকে চলি
যেন একসময় বলতে পারি যন্ত্রণা তো জীবনের সৌন্দর্য।
এই জীবন তার দেওয়া এক অনুগ্রহ
তারই তরে করে দিয়েছি ত্যাগ।
এই যে দিয়েছি, এটা কি সত্যিই আমার দান?
বেহেস্তের ঋণ হয় নি শোধ,
কখনো হবে কি সেখানে আমার স্থান।
জীবনে যতটা সাহসের সাথে যাপিত হওয়া যায়
ততটাই মেপে ফিরে আসে সাফল্য।
অক্লান্ত পরিশ্রম আর চেষ্টার অশ্রুর নোনাজল
যদি বলে- 'আমিই মহাসমুদ্র' হবে কি তা সত্য?
এক বিন্দু নোনাজলে না হয় সমগ্র বোধ,
যদি না জানো মহাসমুদ্রের গভীরতা
তাহলে বুঝে নিবে দৃষ্টির অভাব, সমগ্রটাই অবোধ শিশুর প্রলাপ।
সমস্ত জীবন ধরে করে চলেছি মৃত্যুর অপেক্ষা।
যা মহাসত্য তাকে ফিরাইতে পারিয়াছে কেহ?
মানুষের মন লক্ষ কোটি চিন্তার মেলা
কিছু-না-কিছু তো ঘটবেই এত ভাবনার কি আছে?
মৃত্যু যখন সত্যি আসবে,আমার ভাগ্যে কি রয়েছে
সে কি আমি জানি?
দূরন্ত কোনো প্রাণীর ন্যায় ছুটে চলে এই জীবন
অবাধ্য সে, ছুটে চলা যে তার অমোঘ বিধি।
রশি হাতে তারে টেনে হিচঁড়ে করা যায় না নিয়ন্ত্রণ
বয়ে যেতে দাও জলধারার মতো, নির্মিত করো জলপথ।
যন্ত্রণায় আমি অভ্যস্ত হয়েছি, হয়তো তাই যন্ত্রণার নেই কোনো অনুভব।
দুঃসাহস আর ভীতির এই পৃথিবীতে-
এখনও কিছু রয়েছে বাকী।
যেখানে নেই সত্যের শাসন সেখানেই হবে তাদের আবির্ভাব।
এখনও রয়েছে বাকি কিছু সত্য মানবের আগমণ
জীবনের ইচ্ছে যদি যাই মরে,
মৃত্যুর ধ্বংস হতে হবে তার উত্থান।
এ তো মুখরিত মানবের বুলি,'যার হয় শেষ ভালো, তার সব ভালো।'