আমরা যখন চুপচাপ ভদ্র সমাজে
একটা ছোট শব্দ রাখি—
"কেন?"
তখন কেঁপে ওঠে চেয়ার-টেবিল, ধর্মের দেয়াল,
আবেগে মোড়া পুরোনো সব মিথ্যে গল্প।
আমরা অসম্মান করতে আসি না—
আমরা বলতে চাই,
শ্রদ্ধা মানে চুপ থাকা নয়।
আমরা যখন বলি—
"এই নিয়ম কে বানিয়েছে?"
তারা বলে, "পুরোনো কথা মানো।"
আমরা জিজ্ঞেস করি,
"সব পুরোনো কি ঠিক?"
আমরা প্রশ্ন করি—
"কেন মেয়েরা রাতে একা হাঁটতে ভয় পায়?"
"কেন কারও ধর্ম তার জীবনের চেয়ে বড় হয়ে ওঠে?"
"কেন একটা খালি পেট স্কুলে গিয়ে বই ধরে?"
এই প্রশ্নগুলো শুনতে কারও কারও অস্বস্তি লাগে,
তাই অনেকে দূরে সরে যায়।
কিন্তু আমরা জানি—
প্রশ্ন না করলে উত্তর আসবে না কখনও।
আমরা বড় বড় নেতাকে নিয়ে ভাবি ঠিকই,
তবু প্রশ্নটা বাবাকেও করি—
"মা সব কাজ একা কেন করে?"
শিক্ষককে জিজ্ঞেস করি—
"সবচেয়ে চুপচাপ ছাত্রটিকে কখনও ডেকেছেন?"
নিজেকেও প্রশ্ন করি—
"আমি আজ সত্যি নিজেকে বুঝেছি তো?"
আমরা ভয় পাই, তবু চুপ থাকি না।
কারণ আমরা বুঝি,
ভয়ের মাঝেই লুকিয়ে থাকে সত্যের সাহস।
অনেকে ভাবে, আমরা সমাজ ভাঙতে চাই—
না, আমরা গড়তে চাই।
একটা এমন সমাজ,
যেখানে শিশুরা অবলীলায় প্রশ্ন করে,
আর বড়রা সেই প্রশ্ন শুনে চুপ নয়, ভাবতে শেখে।
শেষে বলে—
"তুমি ঠিক বলেছো, আমাদের বদলানো দরকার।"
আমরা যারা প্রশ্ন করি,
তারা বিশ্বাস করি—
প্রশ্ন মানেই অবিশ্বাস নয়, বরং গভীর আস্থার প্রকাশ,
যেখানে সত্যের চেয়ে বড় কিছু নেই।