স্নিগ্ধ সকালে, কাঠ ফাটা ভরদুপুরের রোদে
কিংবা গোধূলি আসতাম নাট্যমন্দির রোডে।
শহরের এই চিরচেনা গলি যে, ধরে রেখেছে জীবন জুড়ে
পূর্বে বহমান বহু স্মৃতি আকড়ে।


শীতের স্নিগ্ধ শিশিরে ভেজা রাস্তা, গ্রীষ্মের গরমে,
বর্ষার বৃষ্টিস্নাত বিকেলে- হেঁটেছি যে আমরা আনমনে।
বসন্তের বাসন্তী হাওয়ায় দেখেছি তোমার অবাধ্য উড়ন্ত কেশ,
শরৎকালের আকাশের কাছে সাদা মেঘের থাকার রেশ।


একে অন্যের হাতে হাত রাখার স্মৃতি অমর হয়ে থাকবে,
পাশাপাশি পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটার কথা ভুলতে পারবে?
না, পারবে না; পারতে দিবে না গলির ল্যাম্পপোস্ট, রঙের বাঁধন,
গাছগাছালি, অবকাঠামোর পিলার কিংবা দেয়ালের লিখন।


পরী, যতবারই আসবে এ পথে, মনে করিয়ে দিবে সুখময় অতীত।
বর্তমানে চলছি, ভবিষ্যতেও আসবো আমরা, করবো বিলাস অতীত।
হয়তো সময়ের তালে পাল্টাবে চিরচেনা স্মৃতি,
কিন্তু মনে করবো, সেই আগের তুমিই আছো হে সাথী।


বারংবার তোমার সাথে গেয়ে যাওয়া গান, কবিতা বলেই যাবো।
আবারো করবো প্রেম তোমারই সাথে, একই পথে হাঁটবো।
আবারো বলবো আমি, ভালোবাসি তোমায়,
প্রতুত্তরে তুমিও বলবে, ভালোবাসি প্রিয় তোমায়।