রবীন্দ্র নাথ যখন ছাদে উঠলো
তখন আকাশকে বলেছিল কী অপরূপ
তখন আকাশ নিচে নেমে এসেছিল
আকাশকে দেখতে দেখতে রবীন্দ্র নাথ মরে ছাই হয়ে গেল
তারপর যখন আকাশে মেঘ ধরলো
তখন নজরুল মেঘ সরানোর চেষ্টায় আকাশে কামান ছুড়ে মারল
যদিও সেটি আকাশে কম্পন সৃষ্টি করেছিল
কিছুদিনের স্থায়ী ভুবনে সেটি যখন দুলে দুলে যাচ্ছিল
তখন মসজিদের পাশে তার কবর রচনা হয়ে গেল
এরপর প্রেমের যখন আকাল পড়লো তখন ছাদে এসে জীবনান্দ দাশ নিঃশ্বাস নিতে চাইল
আর প্রকৃতির সাথে বন্ধুত্ব করতে চাইল
তারপর যখন সবকিছু থেকে হতাশা আর হতাশা স্থায়ী হলো
তখন আত্ম তৃপ্তি পেতে নিজেই নিজের জীবন দিয়ে নিজের সমাধি রচনা করলো
এরপর যখন রোবট জীবন শুরু হলো
তখন জসীম উদ্দীন ছাদে উঠে গ্রাম বাংলার পরিবেশ দেখা শুরু করলো
আকাশে তখন নকশী কাথার মাঠ রংধনু আকারে শিল্পায়িত করা হয়েছিল
কিছুদিন পর রংধনু যখন সকলের ভিতরে সাত রং ধারণ করার অধ্যায় উপস্থিত
তখন জসীম উদ্দীন পরকালে চলে গেল ৷
সাম্যবাদী কবির ঘুম হঠাৎ ভেঙ্গে গেলো
সে ভাবতে লাগলো কবিরা শুধু আসে আর যায়
অনেক কাজই অপূর্ণ থেকে যায় ৷৷