ওরে প্রেম!
তুই পাগলা হাওয়ায় মাতাল ঢেউ তুলে,
ভুলিস না তুই যাসনে দুরে এমন হেলে-দুলে।
থাক তুই মেহেদি রাঙা নরম হাতের,
বৌয়ের মুখে ঘোমটা খানা খুলে।
থাক তুই ভোর-বেলাতে ঘুম ছুড়ে ফেলে,
ঘাসের উপর শিশির কণার,
হীরার আলো জ্বেলে।


ওরে প্রেম!
আকাশ মাটির চুমায় রেগে,
গভীর রাতে স্বপ্ন দেখে উঠিস নারে জেগে।
থাক মেতে তুই চ্ছল চ্ছল জলের কোলাহলে,
আঁছড়ে পড় মোর বুকের পরে আলতো ঢেউয়ের ছলে।


ওরে প্রেম!
তুই বিরহ মরিচিকা,
নয়ন জলে জ্বালিয়ে অগ্নি শিখা।
ভেঙে মন, পুড়ায়ে সুখের বাড়ি,
বানালি দেবদাস দিতে মরু পাড়ি।


ওরে প্রেম!
তুই বুকেতে তুলে ঝড়ো হাওয়া,
শেখালী ভাষা তাই এমন কথা কওয়া।
পরালি গলে মালা, ঘুরায়ে প্রেমের মেলা,
কেন তবে ফিরছে রানী?
একি ছলনার খেলা?
নাকি মৌন কুমারীর শঙ্খ দুঃখ সুরে ছাওয়া?


ওরে প্রেম!
বল তুই আজ আমারে,
কি অকাজে আবেগী ঢেউয়ের তালে,
ধরিয়ে দিয়ে বাস্তবতার জালে?
নোনা জলে ভাসিয়ে জাহাজ,
দিলি এ কোন স্বপ্ন খোজার কাজ?


ওরে প্রেম!
তুই দ্বিধায় ভরা আফসোসের সুখ,
মন ভোলানো মেঘের পরে মায়াবী এক মুখ।
ডাগর ডাগর চোখ যেন তুই,
কাকের পাখায় কালো চুক চুক,
সুখ ফাঁপরে চাপা কাদন, বিরহে পোড়া বুক।