কবিতার পঙক্তি মুণ্ডপাত করে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত হোক প্রগাঢ় ভুলের মরশুম
নরকের বারান্দায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাক নিরুত্তর সব গর্ভশোক
বিসর্জন হোক পুরনো সব যন্ত্রণার
সমদ্বিবাহু ঢেউয়ে ভেসে যাক আবেগী চিন্তার শেষ নৌকা
দোলসিন্দুকের দুলুনি থেকে চিরতরে হারিয়ে যাক-
আবেগের আঘাত অনুধাবন করার সময়।
কতকাল আর ঘুরবে অসংলগ্ন দুঃখ বিলাসের গত তিরিশবছর!


ভাববার কিছু তো নেই!
লেন-দেনের খপ্পরে পড়ে সময়ের বিকট হুঙ্কারে হৃদয় সম্পর্ক সূত্রে ছেদ টানে কড়ি
দর ভেদে বাজারে বিকোয় বাণিজ্যের খেয়া।
বুঝবার কিছু তো বাকি নেই আর!
নির্বান্ধব একটি মানুষ বড় অপ্রয়োজনীয় এই জগতের উৎসবে।


মনকে গুছিয়ে নাও মণ্ডল
এখনও সূর্যাস্তের অনেকটা বাকি
কল্লোলের বিদ্যালয় খুঁটে ত্রিভুবনের পাঠশালাটি খুঁজে নাও
লালকালিতে শোধরে দাও নীল কিংবা কালো কালিতে লেখা সব ভুল
নিরবে নিরবচ্ছিন্ন নিরবতায় হও আপন সন্ধ্যাসাথী, হার না মানা এক স্বপ্নসারথি।