মাঝে মাঝে খুব বদমায়শি করতে ইচ্ছে হয়
তোমাকে হঠাৎ করে চমকে দিয়ে !
রান্নাঘরে এক মনে রান্না করছ,
ঘেমে-নেয়ে জবুথবু,
পিছন থেকে যদি জাপটে ধরি,
মাছের ঝোলের জন্যে রাখা হলুদবাটা দিই যদি
তোমার গালে একটু লাগিয়ে,
তখন খুব কি রাগ করবে ?
নাকি,
আমার গালে গাল ঘষে সেই হলুদ লাগিয়ে দেবে ?


কিংবা ধরো, ছুটির দিনে দুপুরে সবে খেয়ে একটু শুয়েছ,
আমি পাখাটা দিলাম বন্ধ করে।
গরমে তোমার নাকের ওপর ক্রমে ছোটো ছোটো
হীরের দানা ফুটে উঠবে,
আমি চুপিচুপি নাক ঘষে তাদের সঙ্গে প্রেম করব।
ঘুম ভেঙে গেলে খুব কি রাগ করবে ?
নাকি সেই হীরের দ্যুতিতে ঝলমল করবো দু-জনে?


মাঝে মাঝে পাগলের মতো আদর করতে ইচ্ছে হয়...
মাতাল হয়ে যাবো মোরা হরগৌরী খেলায়;
মনে হয়, মাঝরাতে তোমায় ঘুম থেকে তুলে বলি
-চলো একটু ঝগড়া করি।
তুমি ঢুলুঢুলু চোখে বিরক্ত হয়ে
ঝগড়া করব না বলে, ঝগড়া করতে থাকবে,
আমি তখন
যদি আলতো করে গালে চিমটি কেটে দিই
খুব কি রাগ করবে ?
নাকি আমাকে খামচে ধরে লুকিয়ে নেবে তোমার বুকে ?


সত্যি বলছি, মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয়...
আরও একটু ঘন হয়ে থাকি। যাতে সব কোনোদিন
'আমাদের' ভেঙে না-হয় আমি-তুমি


এমন পাগলামি কি তোমারও কি হয় ?
ছেলেকে পড়াতে পড়াতে আড়চোখে আমায় দেখে
একবারও কি মনে হয় না,
-ইস! বোকাটার গালে এখন একটু সোহাগি কামড় দিতাম যদি...
কিংবা শীতকালের মাঝরাতে অঘোরে ঘুমোচ্ছি আমি
তুমি ইচ্ছে করে গা থেকে কম্বলটা নিলে সরিয়ে
যাতে ঠাণ্ডায় কুঁকড়ে গিয়ে
সেই, তোমাকেই জড়িয়ে ধরি।


কোনোদিন সন্ধেবেলায় তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে
যদি বলি, রাখো তো সংসার তোমার
এখন এসো তো বসে গল্প করি,
তুমি আটা-মাখা হাতে আমার কপালে আবির
মাখিয়ে বলবে কি,
-একটু দাঁড়াও, এক্ষুনি আসছি ?


কোনোদিন ইচ্ছে করে চা-এ বেশি চিনি দিয়ে,
আড়াল থেকে চুপিচুপি দেখবে কি,
প্রথম চুমুকের পরে কেমন হয় আমার মুখভঙ্গি ?


মাঝে মাঝে আমাদের মনেও বসন্তের পাগলপারা ডাক দেয়
কিন্তু কেউ কাউকেই আর সে কথা বলতে পারি না।


বলতে গেলেই যত রাজ্যের সংসারী কথা মুখ চেপে ধরে।
কথার ভিড়ে বোবা-অনুভূতিগুলো আমাদের ছেড়ে চলে যায়


অন্য কোনো স্বপ্নের দেশে...।।