জাগো অনশন-বন্দী
রনি ই রানী


হে মানুষ জাগো,
জাগো অনশন-বন্দী।
ধরিত্রী কাঁদে দানবের ফাঁদে
বুঝেনা দুরভিসন্ধি।


আজ মানব বিজয় কেতন
ছিন্ন করেছে যারা।
পৃথিবীর পথে তাদের সাথে
করে লও বোঝাপড়া।


ধরণী সবার স্রষ্টা সবার,
ওরা কে তবে আজ?
শোষণকারী সীমার সম
শিরে পড়িয়া তাজ।


বসুধা করে উষর-মরু
দিকে দিকে করায় ঝঞ্ঝা শুরু,
ওরা ধরিত্রীর ধ্বংস আনে
ওরাই মানব বুকে বিষের বিষাণ হানে।


তোমার ঝঞ্ঝায় পাঞ্জা লড়ে
নিরীহ হাজার প্রাণ।
ক্ষুধিত পাষাণ প্রাচীর ঘেরা,
করো শান্তির অবসান।


পৃথিবী জুড়ে উষ্ণতা বাড়ে
বোমার বিস্ফোরণে।
ছাড়ে মিসাইল, থরেবিথরে
অসার,উচ্চাভিলাস মহারণে।


মানব সমাজে দানবের উৎপাত
দানব করে মানব উৎখাত।
এ শান্তির শান্ত বসুন্ধরা অগ্নি তুফান রোজ
নগ্ন নৃত্যে মদ পিয়ে রোজ করে ওরা ভুরি ভোজ।


ভোজনবিলাস আর অত্যাচারে কাঁপে ধরণীতল
হাবিয়া দোযখ নিভেনা ঢালিয়া চোখের  জল।
খুলেছে ওরা নরক দুয়ার জ্বালানি তাতে গরীব
লম্পট দেয় চম্পট দেখ নিভিয়ে আশার দ্বীপ।


সাধের মিসাইলগুলি উড়ায় মাথার খুলি
দানবের মুখেই মানবতার শুনি আজব বুলি।
দুনিয়া জুড়ে শোষিতের বুকে চলিছে নিরেট গুলি
রক্ত শোভিত পৃথিবীর পথ চেয়ে দেখ ঐ ধূলি।


গভীর সাগরের হিল্লোলে আজ বারুদের দূর্গন্ধ
হাহাকার আজ প্রাণীকুলের হয়নি এসব বন্ধ।
মৎসকূলও দেখে অবাক দানবের ধ্বংসযজ্ঞ
হায়েনার হিংস্রতা হার মেনে যায় আহা কী দূর্ভাগ্য!


দলে দলে দানবেরা চলে
সারে জাহান জুড়ে।
ফুলের মতো লাশ সাজিয়ে
এই পৃথিবীর পরে।


পাষাণ প্রাচীর ভাঙতে হবে
পৃথিবীর মানুষ জাগো।
জাগতে হবে ভাই, ভগিনী
জননী  আমার দোয়া মাগো।


শ্মশান হতে, শোষণ হতে মুক্ত হতে হবে
মানবতার বিজয় কেতন উড়বে আবার তবে।
মহাকালের মহারণে আয় রে সবে আয়
বুক পাঁজরে অগ্নি তুফান ঐ দেখ বয়ে যায়।


আর কত কাল কাঁদবি বসে?
পায়ের নিচে মারবে পিষে।
মহাকালের হিসসা নিতে আয় বেড়িয়ে আয়
থাকনা রে আজ ফুল বাসর
ঐ বাজে শোন রণকাঁসর।


অনেক ঋণের বোঝা মাথায়
দিনে দিনে সুদ বেড়ে যায়।
কালোকড়ির দূর্গ প্রাচীর ভাঙতে হবে আজ
মহাকালের পথবাসী সাজব মহারাজ।


রচনাকালঃ ২৫/০৪/২০২২ ইং