কান্ডারী
(রনি ই রানী)


কান্ডারী তুমি এসো আবার এ দেশে
শ্রেষ্ঠ মানব কী রুপে ওঠে দানবেরই বেশে।
আমরা মেতেছি চুপেচুপে  প্রলয় সুখের উল্লাসে
আজকে তরুণ নয় আর অরুণ রক্তে যে তার খুন হাসে।
কান্ডারী তোমার কোথায় আজ কমান্ডো?
অবনীর যত অবনতি করে অকালকুষ্মাণ্ড।
দূর্দম, দূর্মদ, দূর্বার, দূরন্ত, দামাল কান্ডারী তুমি
এসো আবার রক্ষা কর তোমার বীরভূমি।
প্রলয় পুলকে পুলকিত আমরা গুন্ডা বাহিনী
গোড়ামী,আর ভন্ডামীতে রচে যাই সব কাহিনি।
ধর্মের মর্ম না বুঝে সব করিছে কলরব
অবিধির বিধান তুলিছে আওয়াজ কান্ডারী
তুমি কেন আজ নীরব?
মাতৃক্রোড়ে, মাতৃজঠরে করিছে কে খুন
অভিশাপের অগ্নি জ্বালায় নিষ্পাপ যত ভ্রূণ।
শোন হে কালের কান্ডারী
নিপীড়িতের আহাজারি।
আর্তনাদের চিৎকারে আজি
বাতাস হলো ভারী।
তোমার অগ্নিবাণী আজ যুগবাণী হোক চারদিকে
অবিধির ঐ অকল্যাণ যত পলকে হোক ফিকে।
আজিকে বাঁশি বাজে না আর একতার ঐ চৈতী সুরে
আমরা কান্ডারী করি মারামারি চেতনা হতে যাই সরে।
অবনীর বুকে মরি ধুঁকে ধুঁকে নাহি কেহ সহচরী
মহাবিশ্বের মহাকালের মহাগহ্বরে আমরা গিয়েছি পড়ি।
ঐ অতল হতে সমতলে কে আনিবে বল হে কান্ডারী
মানিনাকো কোন আইন- কানুন, নিয়ম- কানুন শৃঙ্খল
আপনার মাঝে সকল কাজে করি হানাহানি কোন্দল।
যারা ছিল হায় পিছনে পড়ি সামনে গিয়েছে চলি
আমরা যেন হায়না, শুয়ার কেবল করি গোলাগুলি।
দাঁত খিঁচিয়ে আপনার চামড়া তুলে নিই নির্ভূল
ললাটে আর কী জুটিবে যে জাতির সব ভুল?
সানন্দে সবে দ্বন্দ্বে মেতে করি নির্ভূল গালাগাল
অগোচরে অবনীর পরে যাচ্ছি রসাতল।
ভরা তরী করি ভরা ডুবি মোরা
চরণ থাকিতেও চলতে গিয়ে ভান করে হই খোঁড়া।
কান্ডারী তুমি হিম্মত হেঁকে সামনে এসে দাঁড়াও
তর্জনী তুলে ধরনীতলে হায়দারি হাঁক দাও।
ঐ দেখে নাও ধূর্ত শিয়াল ডাকছে কেমন হুক্কাহুয়া
মুরগী ধরে পালায় জোরে যায়না তারে একটু ছোঁয়া।
প্রণয়ের অভিনয়ে তনয়ার তনুর স্বাদে
হেরিয়া ষোড়শীর তনু করিয়া রতিক্রিয়া
এঁটে দেয় মরন ফাঁদে।
কান্ডারী হেরি ঐ চিত্রখানি
কাঁদে প্রাণ দিন রজনী।  
আমরা মানব বেজায় পাষাণ
জ্বালছি আজি মহাশ্মশান।
ঐ অগ্নিতে ভাই, ভগ্নি দহন
নয়ন মনে নীরব কাঁদন।
একতার ঐ বাঁধন খুলে
গেঁয়ো স্নেহ গিয়েছি ভুলে।
মনুষ্যত্ব ভূলন্ঠিত স্বাধীনতা শিকায়তুলে
মানব যে মূর্তি, পাথর এসব আজি জাতির মূলে।
চূর্ণ কর দর্প যত
পূর্ণ কর পূণ্য শত।
কান্ডারী আজ বাজাও তোমার বিষের বীণ।
তোমার হাতে পড়বে ধরা আছে যত  নাগ নাগিন।
তরুণ তারুণ্যের তীব্রতা তরতর করে হারায়
কে ফোটাবে  আর কুসুমরাজি মন মরুসাহারায়?
জ্বলছেনা আর আলোর মশাল হচ্ছে না তাই নিশার অবসান
কান্ডারী তুমি এসো চালাও আলোর অভিযান।
বলি অকপটে আজ সংকটে মোর মাতৃভূমি
এসো উদ্ধারে, থেকো শেষাবধি এসো গো তব চরণচুমি।
তব চরণ রূপ ধারণ করে আসুক আলোক শিখা
এসো তারুণ্যের প্রতীক স্বস্তিকা হয়ে
যৌবনে দিতে রাজটিকা।


রচনাকালঃ ৫/৫/২০২১ ইং ঢাকা।