আমার গাঁয়ের মাঠে মাঠে
কৃষান-কৃষানী সারাবেলা ।
সুখে দুখে মাটির বুকে
ধুলি মেখে করে খেলা ।
গায়ের বাঁকা মেঠো পথ ধরে
লয়ে যায় রাখাল ধেনু ।
বটের ছায়ায় দারুন মায়ায়
বাজায় সে বাঁশের বেণু ।
পাশ দিয়ে ছোট নদী  
নিরবধি বয়ে যায় ।
জেলে ভাই রোজ তাই
মাছ ধরতে যায় ।
খালে বিলে দীঘির জলে
ফোটে পদ্ম ফুল ।
বাহারি রঙ আর রুপে তার
মন হয় যেন আকুল ।
মাঠে মাঠে ধান ফলায়
গায়ের কৃষক ভাই ।
গোলা ভরা সোনা ধানে
মন খুশি রে তাই ।
আমার গায়ের চারিধারে
কেবল সবুজের মেলা ।
গাছ গাছালি- পাখিপাখালি
প্রকৃতির অপার খেলা ।
জ্যোছনা রাতে শুনি কান পেতে
এখানে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক ।
রাত্রিতে প্রহরে প্রহরে
শুনি শিয়ালের হাঁক ।
গাঁয়ের সকল ছেলে মেয়ে  
যায় গ্রামের পাঠশালে ।
নিশির শিশির হাসে
রোদেলা শীতের সকালে ।
পল্লীবালা এখানে বাদল দিনে
বোনে নকশি কাঁথা ।
আপন মনে নকশা তুলে
জুড়ায় তাহার ব্যথা ।
উঠোন জুড়ে জ্যোত্‍স্না রাতে
গাজী কালুর পুথি পড়ে ।
গাঁয়ের জীবন রঙ্গীন ভুবন
চলছে হাজার বছর ধরে ।