নীল গগনে অনিমিখে চেয়ে আছে দৃষ্টি
চাতকের মতো চেয়ে আছে জনম থেকে।
এক পশলা বৃষ্টির আশায়।
আসেনা সে বৃষ্টি ভিজেনা তাই
উদাস আঁখির অনিমিখ দৃষ্টি।
বরং বহে নিতি শুকনো সাইমুম ঝড়
যেন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তর উড়িয়ে।
আমি রুদ্র রবির প্রখর আলোয়
পিচঢালা পথ চলি একা একা।
আদুল গায়ে ফোসকা পড়েছে
ঘুমহীন দুটি চোখে রক্ত জমেছে।
ঘামে ভিজে গেছে গরীবের ঘরে জন্ম নেয়া
অসহায় ছেলের অবহেলিত দেহ।
সবাই কুদৃষ্টিতে তাকিয়ে ধ্যাৎ ধ্যাৎ করছে
মানুষ ভেবে নয় বেকারত্ব দেখে।
ঠিক যেন রাস্তার পশমহীন কুকুরের মতো
হাড্ডিসার কুকুর,সকাল দুপুর অসহায় হয়ে
পেটে তীব্র ক্ষুধা লয়ে যেমনিতর ঘোরে
মানুষের দ্বারে বারে বারে।
আধুনিক মানুষ পশমহীন কুকুরের চেয়েও অধম
মানবতা গিলে ফেলেছে মদের পেয়ালার সাথে।
নাইট ক্লাবের নগ্ন নৃত্যের সাথে।
নীল গগন আমার সোনার দেশটা
কবে মেটাবে  গরীব,বেকারের তেষ্টা।
রাস্তার কুকুর আমি ইংরেজিতে এম,এ পাশ করা কুকুর
চাকরীর আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরি সকাল দুপুর।
বৃষ্টি আমার  জীবন চালোনার মতো একটা চাকরি
উদাস দৃষ্টি আমার অপরিপক্ব, অজানা ভবিষ্যৎ।


রচনাকাল :২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩  বঙ্গাব্দ
গাজীনগর,পাথারিয়া,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ।
রাত:১১:০০ ঘটিকা।
০৩/০৬/২০১৬ ইং