আপনারে ভাবলি বড়
সদা নশ্বর এ বিশ্বচরাচরে।
সামান্য স্বার্থে ওগো
হানলি আঘাত অন্তরে।
আনলি কত নোনাজল
তব কটুবাক্যে নিরীহ নয়নে।
কাঁদিল কত আঁখি হায়
আপনার বিষমাখা কথার বাণে।
বসুধা মাঝে সকাল সাঁঝে
তব কুক্ষণে আচরি।
দরিয়া মাঝে ডুবিল হায়
ভরা যতসব তরী।
তবুও হায় বুঝলি না
আপনার কুক্ষণে ব্যথার দান।
মনের অজান্তে নয়নোপান্তে
আনিল কত প্লাবন।
কত বোবাকান্না কাঁদিছে
আপনার ক্রোধানলে পড়ে।
মেদিনীর বুকে ধুকে ধুকে
কত নিরীহ প্রাণ ধড়ফড়িয়ে মরে।
শত অবিধির ক্ষত আজও
নিরীহ প্রাণে প্রাণে।
আপনার কটুকথায়
অন্যেরে প্রবল ব্যথা হানে।
তবুও জাগলো না হায়
তব অনন্ত অচেতন চিত্য।
আপনারে হারায়ে এ বিশ্বালয়ে
আপনারে বানাইলি তুই মন্দের ভৃত্য।
চিত্ত যদি নিত্য তোর
ভৃত্য হয়ে রয়।
অবনী পরে কেমন করে
হবে রে মানবের জয়?



রচনাকাল : ২২ আষাঢ় ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
নিজ বাড়ী, বৈরাতী,কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট।
বিকাল: ১:২২ ঘটিকা।