মোরা গাঁয়ের ছেলে সুযোগ পেলে
গাঁয়ের পথে গাছের তলে বাঁশরী বাজাই।
বন বাদাড়ে ঘুরে ফিরে
শ্যাম বীথিকা সখ্য করে মোদের দিন কাটাই।
বেণু হাতে ধেণু লয়ে
তিস্তার চরে যাই।
মনের সুখে সারাটা দিন
মোরা  ডাংগুলি খেলাই।
তপ্ত তনু জুড়াই মোরা
নাহিয়া নদীর জলে।
চিক চিক করে সাদা বালি
স্বচ্ছ পানির তলে।
কাজের ফাঁকে নদীর বাঁকে
মাছ ধরিতে যাই।
লাফিয়ে ওঠে ট্যাংরা,পুঁটি,চিংড়ি শাটি
আরো ওঠে বৈরালি মাছ যার তুলনা নাই।
গাঁয়ের পথের রাঙা ধুলায়
মোদের চরণ লেগে।
এ গাঁয়ের ধূলা ও গাঁয়ে যায়
নিতি হাওয়ার বেগে।
আমরা যারা গাঁয়ের ছেলে
থাকি হেথা সবে মিলে
যেমনিতর ঝাঁক বেঁধে রয়
মাছেরা খালে বিলে।
উৎসবে জেগে ওঠে
আমাদের গাঁয়ের প্রাণ।
নতুন ধানে ঘরে বাইরে
আনে রে অঘ্রাণ।
আমরা ভাই গাঁয়ের ছেলে
রোজ সকালে উঠি।
লাঙল, জোয়াল, গরু লয়ে
মাঠের পানে ছুটি।
পালের জোয়ান বলদ দিয়া
চাষ করি কঠিন মাটি।
গাঁয়ের মোরা নবীন কৃষাণ
ফসল ফলাই খাঁটি।
জ্যোৎস্না রাতে মন রাঙাতে
শুনি ভাই বাউল গান।
ঝাঁকড়া চুলে ওঠে দুলে
বাউল হাসান মিয়ার প্রাণ।
নেচে নেচে গায় গান
গাঁয়ের বাউল হাসান মিয়া।
রঙ্গ রসের গান শুনে
জুড়াই মোদের হিয়া।
আমরা গাঁয়ের নবীন জোয়ান
নবীন মোদের প্রাণ।
প্রবীণের পায়ের পরে
জানাই গো সম্মান।
প্রবীণদের বাণী শুনে
নবীন মোরা চলি।
তাই বুঝি ভাই গাঁয়ের বাগিচায়
ফোটে সুখ, শান্তির কলি।



রচনাকাল :১৪২৩ বঙাব্দ
গাজীনগর,পাথারিয়া,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ।
রাত:১০:০০ ঘটিকা।