দ্বার বেয়ে এলো ঘরে
সাত সকালের আলো।
গহন রাতের নিবিড় নিশা
কোথায় লুকালে?
বুঝতে পারি দিনের মাঝে
রাতের অবসান।
দিনের শেষে রাতি আসে
গাইতে প্রাণের গান।
আঁধার শেষে আমার ঘরে
এল রে আজ আলো।
দিবস হেরি তিমির ছাড়ি
নয়ন জুড়ালো।
সাত সকালে উঠে দেখি
আমার আঙিনায়।
আপন মনে যতন করে
পাখিরা গান গায়।
আরো দেখি শ্যামল দূর্বা
নাহিয়া শিশির জলে।
অরুণ কিরণ লাগিয়ে দেহে
হাসছে রে সকালে।
বকুল তলায় সকাল বেলায়
এসেছে বাবুলের বউ।
রুপ খানি তার দেখতে যেন
ডালিম ফুলের মউ।
কনক বালা রুপের ডালা
মুখে রাঙা হাসি।
গগন হতে এসেছে নামি
পাতালে  যেন শশী।
বাতায়ন খুলে দেখি আজি
বাগিচার ফুলে ফুলে।
প্রজাপতির রঙীন পাখা
প্রভাত হাওয়ায় দোলে।
রোজ সকালে প্রভাত বেলা
সবুজ গাছের ফাঁকে।
হরেক রকম পাখ-পাখালি
আমায় কেবল ডাকে।
ওদের ডাকে সারা দিতে
রোজ সকালে উঠি।
শিশির ভেজা সবুজ ঘাসে
নাঙ্গা পায়ে হাঁটি।
আঁখি মেলে হেরিলে ভাই
বাগিচার ঐ ফুল।
পরাগ রেণুর পরম পরশে
পরাণ মম হয় রে মশগুল।



রচনাকাল : ৯ শ্রাবণ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
গাজীনগর,পাথারিয়া,সুনামগঞ্জ
সকাল: ৫:৩০ঘটিকা।