আশার ভেলায় নিরাশার খেলা
চলিছে হায় বেলা অবেলা।
কে দেবে মোরে ভরসা
নিরালে বসে একা ভাবি সহসা।
দিবস রাতি চলি একা একা
চারিধারে প্রবল পুলকে নাহি মেলে সুখের দেখা।
শ্রাবণ গগনের কৃষ্ণ সঘনের মতো
ঘুরে বেড়াই গগন তলে সুখের তরে অবিরত।
জানি ভাই মম ললাটে সুখ লেখা নাই
ব্যথা ভরা, বেদনা হত আমার হৃদয় তাই।  
কী হেতু এসেছিনু এ মায়ার মেদীনিতে
কতকাল সইব আর দুঃখ দিনে রাতে।
শত ব্যথায় তবুও আবার আশায় বাঁধি বুক
দুঃখের পরে আসবে জানি অবনী পরে সুখ।
গহন রাতে তারার সাথে একা কথা বলি ঘুমজাগা বিহগ কন্ঠের মতো বিরহ সুর তুলি।
তবুও আশার ভেলা লয়ে তীরে বসে থাকি
আয় আয় সুখ আয় করুণ সুরে ডাকি।
আসেনা সুখ আমার বাসনার চোখে
আমার দুঃখের ভাঙা তরী বাইছি ধুকে ধুকে।
আমার ভাঙা তরী,ভাঙা হাল
ছেঁড়া তার ধবল পাল।
দুখের দরিয়া মাঝে
সকরুণ চোখে দুখের দহন হৃদয়ে বেদনার বীণ বাজে।
অকূল পাথারে কূল খুঁজি দুখের তরী লয়ে
আর কতকাল যাবো এমন দুখের তরী বয়ে।
আপন স্বজন হলরে পর আমার দুখের দিনে
কেহ নাই আর আপন এখন আপনার মাবুদ বিনে।
অকূল দরিয়া মাঝে আমি ভাঙা তরীর মাঝি
একটুখানি সুখের আশায় ডুবে মরতে রাজি।


রচনাকাল : ৩ ভাদ্র ১৪২৩ বঙাব্দ
রাণীগঞ্জ, জগন্নাথপুর, ব্র্যাক অফিস।
বিকাল: ৪:০০ ঘটিকা।
পটভূমি : আমার বন্ধু রেজা খানের কবিতা পড়ে আমি এ কবিতার প্রথম ৬ লাইন লিখি। তারপর মনস্থির করি কবিতাটি পুরোপুরি লেখার জন্য।