প্রেমের স্নিগ্ধ ছায়া ছেড়ে বিরহ- খড়ার কথা বলি;
বিমর্ষ-হৃদ হতে চুঁইয়ে পড়া জল ঝরে হয় জলাধি।
প্রেমের গভীর সাগরে, সমাধি স্থলে পুরু আস্তরণ ;
জলের কোমল দুর্বা - দল অকারণে করে সন্তরণ ।
উষ্মা প্রশ্বাস চৌচির ধরণীর উৎকর্ষ তপ্ত কাহিনী ;
সময়ের ভারে হারায় কান্না- হাসির দোলার ধরণী।
তীর-পুন হতে নির্গত তীরে বিষফলে হয় গলাগলি;
আমি চেয়ে থাকি সেই ফলকের প্রাচীরে,দলাদলি_
দপাদপি করে যেখানে শীত- হেমন্ত- চৈত্র- বসন্ত ।
এসব আগুছালো সময়ের আসবে কি না দিনান্ত ?
পথে পথে ঘুরে বেড়ায় মন ভোরের ঊষাহীন গলি ;
সময়ের হতাশ চাহনির আশ পুড়িয়ে দেই অঞ্জলি ।


নিত্য জাগরনে একদিন হলো তোমার আবির্ভাব;
সময়ের কোষে এখন গঙ্গোত্রীর নবীন প্রাদুর্ভাব ।
সময় হেমন্তের বাগে মধু - ফুল ফুটিয়েছে অলি;
কোষ ভরে কুড়িয়ে নাও চন্দন সুরভি পুষ্পাঞ্জলি।
কালো মেঘ গেছে সরে নীল গগনের হলো উদয়;
সাঁঝের ঘোরে দ্বীপ জ্বলে দ্বারে, কেটে গেছে ভয়।
অসময়ে সময় তোমার শরীরে হয়েছে কত ক্ষত ;
বুকে জ্বালা সয়ে তুমি ক্ষত সরিয়েছ তবু অবিরত ।
কেহ নেই নাই কোলে তুলে যেন সে শরীরী মলিন!
সে যে অমায়িক বড় ,জুড়ে দেয় ক্ষত সর্বকালীন।
তবু সহে যায় শুধু উপেক্ষা , ভৎসনা যে সবাকার;  
যোগফল যার কৃপা-দান তাঁর,করো না হাহাকার ।


বাবুল আচার্যী     14/02/2018