হ্যালো .হ্যালো .আপনি কে বলছেন?
কার সাথে কথা বলতে চাও কিংবা চাইছেন?
কারণ ঐপারে চেনা তুমি নতুবা অচেনা আপনি হতে পারেন ।
অচেনা আর চেনা স্বরের মাঝখানে দুলে দুলে_
কিছু মনে আসে,কিছু যায় ভুলে ;
তোমায় ও আমার চেনা অচেনার মাঝপথে ,
কেউ জোড়া সাঁকো দিয়ে পাড় হয় অনায়াসে ;
কেউ থেমে যায় প্রান্তরের শুরুতে  ।
ঐ আকাশ আর এ ধরার রিক্ত স্থানে,
স্মৃতির অনু পরমাণু তে যুদ্ধ হয় কিছু ব্যবধানে ;
যেখানে সবাই বিবশ ভাগ্যের পরিহাসে ।
একটা ছোট্ট কথা, ছবি ভেসে আসে বাতাসে ।
তরীর মত হেলেঢুলে, ভাসতে ভাসতে ;
চলে আসে কিনারায়, স্মৃতির মধ্য পটে।
কত কথা, কত ভাস্য, চলে এল হ্যালো হ্যালো করে ।
কথার দোলায় দুলতে দুলতে ,
অনেক কষ্টে ....ত্রস্তে.... ত্রস্তে
একসাথে বলে ফেলল দিব্যাঙ্গণা ।
সে এখন শয্যাশায়ী ।
মনে হয় ,সুগারটা এর জন্য বেশী দায়ী ।
মা বলত,  " সবসময় মুখে চপড় চপড় করিস না,
এতগুলো রসগোল্লা একসাথে খাস না, মণি ;
আজ কাণে শুনছিস না ;
যেদিন থাকব না, সেদিন বলতেও আসব না ,
তখন চোখের জলে বুক ভাসিয়ে বুঝতে পারবি জানি "
আজ অক্ষরে অক্ষরে সে কথা হল সত্য ।
আপন বলতে এ জগতে ওর আর কেউ নেই_
যে ছিল পাশে, সে চলে গেছে কবে ই ।
সন্তান বলতে একমাত্র ছেলে,
সে ও দেশ ছেড়ে চলে গেছে ;
দশের ভীড়ে সাগরে মিশেছে।
সে এখন আমেরিকার খুব বড় ডাক্তার !
যেমনি তার সুখ্যাতি তেমনি প্রসার।
আজ ছেলের মনে আসেনা _
মায়ের শরীর, মায়ের ব্যথা ;
রক্ত স্নাত ঐসব দিনের কথা ।
আঁকড়ে ধরেছ যাকে সে চলে ফাঁকে ফাঁকে _
সিধা পথ চলতে চলতে কেন বাঁকা হয় বাঁকে ।
যারা আছে, বলতে ওরা বিদুষী, স্বঘোষিত তারা, এ ভুবনে ,ভারতে ।
ওরা কেউ কোনো কাজে আসেনা দিব্যাঙ্গণা র এ বৃষ্টি ভেজা রাতে ।
ও ভালোবেসে ছিল ছোট্ট বেলায় অনির্বাণ কে ।
তাই আজও প্রতি হ্যালো র মাঝে খুঁজে ফিরে তাকে  ।
আজ মনে হলো খুঁজে পেয়েছে শেষে সেই অনির্বাণ কে ।


বাবুল আচার্যী    21/07/2019