জানিনা কেমনে সুবাস ছড়ায় রঙীন বসন্ত?
পুবের হাওয়ায় লাগলো যে  দোলা,
খেয়া ভেসে যায় ঐ পানে মন-খোলা ।
মন-চঞ্চল খুঁজে পেয়েছে যেন ,জীবন অনন্ত ।


শান্ত দীঘির জল, নেই হেল-দোল ,শান্ত  তরুবালা,
কাশবনে  নেই ঝড়,নেই নড়াচড়া,
বাতাস বইছে ধীরে ,মাঝি মন-মরা,
হৃদয় ছিল গুমট রংধনু ,জ্বলেনি আগুনের জ্বালা ।


চারুলোকে বৈশাখী ঝড়ের ছিল না আনাগোনা ,
সুপ্তির মাঝে ছিলাম,শান্ত শীতল ঘরে,
বুদবুদ ওঠে ছিল,শুনব কেমন করে ?
জোয়ারে তোলপাড় করেনি,হয়নি দেখাশোনা ।


পূর্ণিমা শশী, দিয়েছিল শুধু আলো, বলেনি কোন কথা ,
স্বপনেরা দিত শুধু রাগ ভরা আদেশ ,
ভোরের রবি বলে দিত চলার নির্দেশ,
দিবা অবসানে বসন্ত শুনিয়েছিল,শুকনো পাতার গাথা ।


সে কান্না-হাসির ঢেউ গুলো ছিল সামান্য বসন্তের স্পন্দন ,
সময়ের সমীরণে বসন্তের এলো যৌবন,
বসন্ত চিন্ময়, সুন্দরী, তুলে ধরে দর্পন,
দর্পনে দর্শন করি যারে, তুলে দিয়ে সব তারে, করি সমর্পণ ।


বাবুল আচার্যী   12/02/2016