কে তুই নিশিদিন অন্তরে অন্তরে সবারে প্রলেপ দিয়ে যাস,
বনে বনে মনে মনে মর্মরে ঢেউ তুলে নায়ের পার লাগাস ।
দুঃখের তরীটি নিয়ে যাস ,
সুখের ঘাটে নাও ভিরাস।
সাগরের মাঝ-দরিয়ায় নাবিকের তুই অটল অনড় বিশ্বাস ;
জোয়ারে র উচ্ছাস আমি উপকূলে ভাটায় ফেলি নিঃশ্বাস ।


জানা আজানার মাঝে সবে নাহি জানে তুই সকলেরে চাস ;
ছোট্ট সরল শিশুটির ছলে মাতৃক্রোড়ে তোর শীতল বসবাস ।
রবির কিরণ বিলাস প্রহরে,
দিবা তে ঘুরিস শহরে শহরে ।
পাপড়ি মেলে সুবাস বিলাস, প্রমোদ বিহারে, পথে প্রান্তরে ;
শঙ্খধ্বনি উলুধ্বনি রূপে বয়ে বেড়াস,তুই সাঁঝের আঁধারে ।


বসন্তের কাশবনে দোলা দুলে দুলে তুই মনে কত ঢেউ তুলিস ;
আকাশের উদলা গায়ে মেঘের বৃত্তে কত ছবি যে তুই আঁকিস।
নদীর তটে র শুকনো বালি,
রোদের রঙে রূপার রূপালী,
চিকন কোমরবন্ধনী পড়ে তটিনী পুবের দিশায় যায় যে বহিয়া,
কত রূপে থাকিস তুই, কাজলা চোখে কিশোরী চায় যে রহিয়া ।


সবারে তুই জানিস, সবারে তুই বুঝিস, তবু কেন এত হাহাকার?
কেউ বোঝেনা তোর বসবাস শান্তির দ্বীপে,শান্তির ছবি নিরাকার ।


বাবুল আচার্যী  27/02/2016