সূর্য ! সৃষ্টির চড়াচড়ে চল তুমি নিরন্তর ,
নির্ঘুমে কেটে যায় যুগ থেকে যুগান্তর ।
আগুনের লেলিহানে লিপ্ত অঙ্গে,
তবু নেই জ্বালা তব ভ্রুকুটি ভঙ্গে।
দহনের জ্বালা কত, যে জ্বলে সে জানে ?
বুকজ্বালা নিয়ে তবু ,দেখ চেয়ে সবার পানে।
বন-প্রাণ জলাশয় সবে নেই উত্তাপ ,
তুমি নেই দুদিন, শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ ।
কুহেলির সকালে, তুমি থাকো আড়ালে ,
অশতির হাড়ে হাড়ে কাঁপুনি যে বাড়ালে ।
হাত পা'র ধমনীতে ব্যাথা পেলে টন টন,
তুমি নেই আঁচ নেই ,কানপাটি  কনকন ।
চলে গেলে দেখা দিতে ওপারের আকাশে,
ভয় পেয়ে প্রেয়সী ,আসে না আর সকাশে ।
দোল দোল দুলালী দুলে বসে দোলনায় ,
রবি নেই আকাশেতে ,নেই সে আঙিনায় ।
বাগিচার সূর্যমুখী ফোটে লাবণ্যের বন্যায়,
তুমি গেলে ফিরে চাহে,করে নাকো অন্যায় ।
পৌষের পাকা ধান  সোনালীর বর্ণে ,
হেলেঢুলে দোল খায়  তরলিত স্বর্নে।
আহাঃ রূপ মরি মরি,মন হয় ছারখার ,
তুমি এলে মন বলে, বেঁচে থাকা দরকার ।
ঝর ঝর ঝর্ণা , রোদ্দুরে হীরকের বর্ণা,
ঝলমলে শাড়ি পড়ে মুখরিত কন্যা ।
ধরনীর তুমি হলে মূলভূত শক্তি ।
সকলের অর্চনার তুমি হলে ভক্তি।
রক্তের শক্তি ধারা বহে যত ধমনীতে
শক্তির রূপান্তরে কত রূপ অবণীতে।


বাবুল আচার্যী  31/03/2016