নদী তুমি নিরবধি চলেছিলে নিজ-সখা-বালিরে লয়ে ;
মন প্রাণ মিলায়ে অঙ্গে অঙ্গে জড়ায়ে নিয়ে ছিলে বয়ে ।
ছিল নাতো কোন ভয় দোঁহে করে  জয় সকল স্রোতে ;
তবে কেন মুক্ত করলে শক্ত বাঁধন আজ নিশি ফুরাতে।
সে তো ছিল ঘরে তোমারি ত্বরে পেতে কোমল বিছানা ;  
অমৃত্রাকর ছন্দে পরমানন্দে চলেছিলে  তাই আনমনা ।
কত রুক্ষ পাথর করে অনাদর তোমার চলার বাঁকে ;
সে ব্যথা সব করে দিয়ে লাঘব নিয়ে তোমায়  কাঁকে ।
কুলুকুলু স্বরে বইছিলে তুমি নিরন্তর আর যে সহচরী ;
আঁকাবাঁকা পথে গানে গানে মেতে, সাথে ছিল বালুচরী।
অঙ্কুশহীন বিরামহীন চলেছিলে ধরণীকে তুমি আকড়ে ;
তবে কেন ফেলে যাও সখা সম  বালিরে পথের মোড়ে ?
যে জীবন পণে ভালোবেসে ছিল কেন করো অবহেলা;
জ্বলে পুড়ে সে, জ্বরে ভোগে সে, রোজ তপ্ত দুপুর বেলা ।
আজ একপাশে জরাজীর্ণ বালিয়াড়ি শুয়ে কাতরায় ;
শীতল ভালোবাসা নেই তার জীবনে, সে বড় অসহায় ।
দুর থেকে অধীর নয়নে সে চেয়ে রয় নদীর শীতল জলে,
তৃষিত হৃদয়ে হাহাকার করে ওঠে, কেন সে মৃত্যুর কবলে ?
আমার ভালবাসা ও ছিল শীতল জলের বালির মত সিক্ত ;
নদী বয়ে যায় নিজের মতো বালি পড়ে আছে পাশে রিক্ত ।


বাবুল আচার্যী  21/07/2016