সিঁথির দু কুল ছাপিয়ে পড়ে ঘন কালো যমুনার জল ,
মাঝখানে মসৃণ রক্তিম গিরিপথ ,
শূন্যে,ভাসে ভালে বৃত্তীয় সূর্যরথ ,
শক্তির পীঠ তুই,কেন ভগ্নদশা,কেন এত দীনহীন বল?  


রেখে তোকে দৈন্য, কে করে হন্য হয়ে শক্তির উপাসনা ?
রেখে তোকে বন্দী, কে করে সুন্দরী অপ্সরী র আরাধনা ?
দিবালোকে সত্য গোবিন্দের নাম,
রাত্রি প্রহরে জাগে কুকর্মের ধাম ;
ভক্তিভরে কমণ্ডলুর জল কুশাগ্রে দিও না আর ছড়ায়ে ;
ব্যথিত হৃদয়ে অনাদির ভার আর দিও না তুমি বাড়ায়ে ।


সিঁথির সিঁদুর, এ কোন শৃঙ্খল বেড়ি,না শক্তি-পীঠ- ধাম,
ডুব দিয়ে দেখে নাও,তুমি কোন শক্তিরূপী,রাধা না শ্যাম।
রক্ত বীজ তোরা ভুলে যাস শক্তির উৎস ,
তোরা খণ্ডিত,পরগাছা,অবক্ষয়,বীভৎস ;
লুপ্ত করো স্বাবক্ষয়, বাজাও রে আজ রন রন রন ভেরী ;
তুমি তিলোত্তমা, বিধ্বংসী বীজমন্ত্রে আর করোনা দেড়ি ।


বাবুল আচার্যী  14/09/2016