গাঢ় অন্ধকারের উপাসক একদল সন্ন্যাসী
সূর্যোদয় শুরু হলে
প্রাচীন পর্বতমালার দুর্গম গুহা থেকে
বেরিয়ে আসে। ললাটে চন্দনের ফোঁটা, গেরুয়া
বসনে আচ্ছাদিত তামাম শরীর!


এরাই প্রচীন পারস্যের আদিবাসী ছিল
ঋকবেদ কুলপাদের বংশধর
দেবতাদের অবতার রূপে এসে, এরাই
যুগে যুগে, পাঞ্চালী দুহিতার রেশম বস্ত্রখণ্ড
টেনে ধরেছিল-


এদেরকেই দেখেছি কুজকো শহরে
কাপাকোচা উৎসবের উদ্বাহু মাতাল নৃত্যে
এদের নির্দেশেই লা ডনসেলা
শিংশপা বৃক্ষের নীচে
বরফের মমি হয়ে পড়েছিল হাজার বছর


অথচ সরল ভক্তকুল অবনত মস্তকে
এদেরই অপেক্ষায় থাকে, আভূমি প্রণাম করে
জয়ধ্বনী করে!
তবুও তুঙ্গভদ্রা তীরে, প্রত্যাদেশ কখনোই আসে না...


এইসব প্রথাগত রিচুয়েল, সভ্যতার প্রতারণা
আমাকে ভাবায়-
মদিরায়, মন্থনে, মেতে থাকা মানুষগুলোকেই
আজকাল দেখি , সমাজের ন্যায়পাল
সনাতনী যাজকের ভূমিকায়!


বুনোলতাগুলো ফুল হয়ে ফোটে ঔষধি গুণে!


#######


ধানমন্ডি, ঢাকা
০২ নভেম্বর ২০২০ খ্রীস্টাব্দ