মেঘমন্দ্র আলোয় মুখ ভার করে কুয়াশারা হাসে,
টেলিভিশনের নষ্ট পর্দায় আসে ঝিরঝিরে আলো,
তেমন অস্বচ্ছতা গ্রাস করে আছে দিগন্ত শেষে!
স্বচ্ছ কাচের ঘরে স্তব্ধ ব্যস্ততার নিঃসীম অপেক্ষা,
নিঃসঙ্গ বাতাসে নীরবতা নিয়ে বাঁচা নীলের প্রান্তরে,
একদল শালিকের হাঁটার প্রতীক্ষা!
ঠাঁই হয়ে বসে থাকা সারি সারি হ্যান্ডব্যাগ,
আর নিউজপেপারে ঢাকা মানুষের অবয়ব!
তবু উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষা অনাগত বিমানের,
যেমন অপেক্ষায় পার হয় প্রতিটি জীবন এই পৃথিবীর!


চারপাশে কাচে মোড়া হিমেল ঘরের দেশ,
বিচিত্র মানুষেরা অ্যকুয়ারিয়ামে ঘোরে!
শ্বেতাংগ, জাপানী, আরব, চৈনিক সব-
মুক্ত বাতাসের অদম্য বাসনায় করে হাঁসফাঁস!
কখনো আকাশ ভেবে কাচের দেয়ালে ঠুকে দেয় মাথা!
অনাগত বিমানের উড়ার আশায়!
প্রতিটি মানুষ কিনা নিঃসঙ্গ স্তম্ভের মতো,
আড়ালেই চুপিচুপি করে পার অনেক জীবন!
হাজার বছর ধরে অসমাপ্ত উপপাদ্যের গাম্ভীর্য নিয়ে,
এভাবেই কিছু বিধ্বস্ত স্তম্ভ হয়ে-
আমরাই বসে থাকি আশার আকাশে রেখে চোখ!
অনাগত বিমানের প্রতীক্ষায়, মুক্ত বাতাস ভালোবেসে!


হেলানো সূর্যের আলো,
প্রতিফলনের জোরে বেশ তীর্যক!
ধূসর পিচের টানে রানওয়ে একাকী হাঁটে!
ছুটে চলে একটানা, উপরে তাকিয়ে একা,
ক্লান্ত চোখে তার ধূসর ভাবনা আসে-
হয়তো কোন ইকারূস ফিরবেই বাড়ি-
অসম্ভবের শেষে বাস্তবতায়!