কতোদূর আছো তুমি?
পূবালী বাতাসে সরিষার বন,
ভাসিয়ে নিয়েছে সবুজের ঝড়,
কতোদূর আছো তুমি?
চৈত্রের শুকনো বাতাসে,
উচাটন মন কারণে অকারণে,
ভাংগা মঠটার মতো,
একাই দাঁড়িয়ে ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস!
কতোদূরে গিয়েছ তুমি?
পত্রপাঠ দিও আশ্বাস!


ভেজা রাস্তার শান্ত শহর,
শীতের সকালের শিশির বৃষ্টি,
কুয়াশার ছায়া ঢেকেছে সব!
রোদে মাখা শীতে শালিকের দল,
পান করে তারা শিশিরের জল!
তাদের ছাড়িয়ে আরো বহুদূর,
বলো তুমি গেলে কতদূর?


হয়নি হাটা হাতে হাত ধরে,
বিষন্ন শহরের মোড়ে মোড়ে!
তবুও এই অপেক্ষা অনন্তের,
জেনো হবেই দেখা আমাদের!
পুরানো গলিতে, নতুন আলোয়,
ঝাড়বাতি হয়ে ফোটা পলাশের বনে,
লাল ইট রাস্তায় হলুদ পাপড়ি ঝরে,
তোমার বাসা থেকে সামান্য দূরে!
তুমি কি সেখানেই আছো!
নাকি গিয়েছ চলে আরো বেশিদূরে?


ব্যস্ত রাস্তাটা ঝাপটায় ধূসর ডানা,
চোখ তার কাঁদে নিয়নের আলোয় পড়া,
জলের ফোঁটার সাথে আজো,
মেঘলা আলোর চুপচাপ দিনে।
তার সব কষ্ট নিয়ে সাথে,
তুমি কি এখনো বসো ছাদটার পাশে,
রেলিং এ বসা সন্ধ্যাতারার মতোন।
নাকি আরো দূরে গিয়েছ চলে,
রাত্রির ভীড়ে,
শংখচিল পাখিদের সাথে!