দরোজাটা আটকে গেলো দুমদাম!
জানালায় আলো নেই, বস্তুত সূর্য্য অনুপস্থিত,
তীব্র অন্ধকার গিলে খাচ্ছে সবকিছু!
পার্থিব শরীর থেকে শুরু করে অপার্থিব মন,
সবই তো অন্ধকার করে নিলো গ্রাস  
মৃতভোজী পোকাদের হাহাকার,
বাসি বাতাসের মতো চুপ; তবু আছে ত্রাস!
সম্রাটের অলঙ্ঘ্য প্রাসাদের জালি করা ছাদ,
অর্থহীন! শুধু ছোপ ছোপ অন্ধকার,
শুয়োপোকার মতো কিলবিল করে আসছেই,
পতনোন্মুখ পংগপাল, ক্ষুধা সর্বগ্রাসী,
চামড়ার রন্ধ্র দিয়ে ঢুকে শুষে খাবে সব,
পেশীরা বিকল! ‘জোয়ারে ডুবে যাও’ বলে,
আলোরা পালালো,
এখন গহ্বরে শুধু পাঁকে মেশা জল,
তবুও জীবন বাঁচে, খন্ডিত কীটের কিলবিল,
এখনো সচল!    


অনেকটা সুক্ষ তন্তুর জালের মতো,
উজ্জ্বল অন্ধকার! তোমাকে আমাকে ভিজিয়ে-
দিচ্ছে! অদৃশ্য তবু অনুভবে বিষ,
গুইসাপের উগরানো লালার মতো ভেজা ক্ষত,
ছড়িয়ে পড়ছে; বদ্ধ কুঠুরী জীবন্ত মনে হয়!
একটা অন্ধকার প্রেতযোনি থেকে নেমে এলো,
শীতল আলিঙ্গন; ভয় ভয়ে মরে ভুত,
যযাতির শ্মশানে অপেক্ষমান মুখাগ্নির শিখা,
নিভে গেলে মহাবিশ্বকে ঢাকে যে,
দুর্মর অন্ধকার, তার মতো,
এই প্রাসাদ অশরীরি! রাজা অশরীরি!
আমি নশ্বর!
দরোজা বন্ধ! আটকে পড়েছে কোলাহল!