বৈশালীর ইট কয়লা জমে কালো মাটিতেই সেঁটে আছে,
ভীম মাঝি তার সেগুন কাঠের নৌকায়,
জমে যাওয়া মমির মতো বসে আছে কুকড়ানো চামড়ায়।
ছড়ে গিয়েছে হাতের চামড়ার স্তর,
আগুন লেগেছে ভেলায়, পুনরুজ্জীবিত হবেনা লক্ষীন্দর,
মানুষতো ভুলে থাকে দিনরাত নিজস্ব আপিমের ঘোরে।
হাতের তালুতে মেখে জল খায় নিষাদী রমণী!
কি দোষ আমার! চর্যাপদের ভোরে বেসেছি ভালো,
এখনো তো বাসি! তবু মৃত্যু মুছে দেয় প্রাক্তন হৃদস্পন্দন!
নিষাদী অস্ত্র ধরো! শিকারেরা হাত গলে ছুটে যায়।
চঞ্চলা হরিণীরা দিয়েছে বিসর্জন তাদের ডাগর চোখ,
অশ্বমেধের ঝাঝালো ধোয়ায়! বিশ্বযুদ্ধেও পুড়েছি আমরা,
পুড়ছে অনুভুতি এখনো রাবীন্দ্রিক বিকালে।
নিজেকে নিয়তি বলে হাসে মহাকাল! থামে ইসিজির বিট! তবু এই বিভ্রাট দেখে হাসেন ঈশ্বর!


তালপাতার সেপাইয়েরা জমিয়ে জলসা ঘর,
বিলাচ্ছে ইশতেহার, ইঊটিউবের চ্যানেলেরা পুরোটা সময়,
বাজছে তো বাজছেই! হাসছেন ঈশ্বর!
রেকর্ডের মতো হাসে রমণীর নকল গালের টোল,
সভ্যতার উত্তাপে গলে যায় গোলাপি বেগুনী রং,
কড়া রোদে রংচটা প্লাস্টিকের পুতুলের প্যারেড,
দিচ্ছে পাহাড়া নিউমার্কেটের সান্ধ্য মোড়! একদল সং!
ভাবি ভেসে যাব, মিশে যাব!
কিসে যাব? থ্রিডি মুভি দেখে ভাবি ভেসে যাবো।
পাখা নেই, দেবদূত ছাড়া কেউ উড়তে পারেনা,
সোনালী আগুনে লিখা নিষিদ্ধ নিষেধ।
অজান্তে প্রেম খুজি! প্রোগ্রামিংয়ের ভাষা কি করে খন্ডাই!
কিছু প্রেম গাড় হয়, মনে হয় হাই ডোজে ঘুমের ওষুধ,
নেতিয়ে পড়ে মৃত ছত্রাকের মতো সবগুলো নিউরণ!
হাসেন ঈশ্বর! প্রোগ্রামিংয়ের ভাষা কি করে খণ্ডাই!
ঈশ্বর ঘুমিয়ে পড়েছেন। আমিও ঘুমাই!