অনেক দূরে একেলা ঘরে,
গড়িয়ে পড়া বালুর মতো অসময়ে বৃষ্টি পড়ে,
উড়ছে পর্দা নদীর মতো!
তোমার আকাশে একটা পাখি, খুব ছোট্ট,
কাঁদছে কেন? বলতে পারো?
কঠিন বুকে নিলাম ওজন কয়েক হাজার টন,
তবু পাখি উড়ুক না হয়,
একটা জীবন! আমাদের তো সকল কিছুই-
ভ্রষ্টলগ্নে বিসর্জন!  


তোমার ঘরের আলমারিতে দুঃখ গাছের বন!
জমিয়ে রাখো ফুলদানিতে,
মেঘলা রঙের জামদানিতে,
ভালোবাসার আলপনা! সবটুকুই দুঃখে বোনা!
তবু কেন মধ্যরাতে পুড়ে গেলে সব আলোরা,
দুঃখ হাসে কলকলিয়ে,
পাখিটার ভাঙ্গা ডানা, খাঁচার শিকে আটকে থাকে,
বলতে পারো?


বন্দী যখন কারাগারে, ইচ্ছারা নয় আজ্ঞাধীন,
মেলার আলোয় মনের মিলন,
হবেনা জেনেই হচ্ছি প্রবীণ!
তবু কেন সকাল বেলা হাঁটতে গেলে বেখেয়ালে,
তোমার কথা ভেবে এ মন পায়না খুঁজে দিক!
কারণ কি তার! বলতে পারো!


নীল লাভারা ডুবলে জলে,
দহনকালে শরীর জুড়ে উঠলে পারদ অনেক উঁচু,
রাজহাঁসেরা ছিটায় কণা, পানিতে গড়া মুক্তাদানা!
তবু তুমি পাথর হয়ে আটকে রাখো,
হাসির লহর! নদীর বুকে নামে কেন কান্না বোঝাই-
নৌকাবহর! হদিশ পায়না কেউ,
সকাল বিকাল ফোঁটায় ফোঁটায় গড়ায় কত ঢেউ!
কারণ কি তার! বলতে পারো?