("বনমালী তুমি কাঁদিও মন খুলে কাঁদিও")


কেউ জানেনা, কেউ দেখেনা তোমার দুঃখ এবং কান্না!
সবাই খোঁজে আতশকাঁচে কৃষ্ণ চোখে অশ্রুর ঢেউ,
পায়না দেখা ওই আঁখিতে দুঃখস্মারক এখনো কেউ!
আমরা হয়তো বুঝিনা তাই, কান্না গুলো লুকিয়ে থাকে,
তবুও নাকি বনমালী কাঁদে রাতের নিভৃতেই!  
দেখতে পেলে এই ধরাধাম থমকে যাবে এক্কেবারেই।


যে ছেলেটা রকে বসে একটানা দেয় বিড়িতে দম,
পুড়িয়ে ঊড়ায় ফুসফুসকে, শ্বাসের কষ্টে কাতর হলেও।
কাউকে ভেবে পুরোটা পথ রিকশা ছাড়াই হেঁটে চলে,  
তারো কিন্তু হয়না কাঁদা, বুকের ভিতর মোচড় দিলেও!
অফিসে যায়, বাজার করে, খুব স্বাভাবিক ভঙ্গীতে,
কারো কথা ভেবে তারো গলে মনের সব বরফ!  
দৃশ্যমান হয়না সেটা, হয়তো দেখা উচিত ও নয়,
তাসের দেশে টেক্কা পেলেও সেই ছেলেটা সুখী নয়!


একজনম দুঃখ পেয়েও তোমার মতো আমাদেরো-
এই জীবনের সমস্ত কাজ হিসাব মতোই করতে হয়।
নাই ছুটি আর নাই অবসর একটুখানি দুঃখ করার,
বিরহ পাথর হোক না ভারী; সহ্য করাই নিয়তি তার!
বিধির লিখন, দুঃখ ভারেও করতেই হয় রাজ্যশাসন,
শ্রীমতী দের অবিশ্বাসও কালের চিরকালীন নিয়ম!  


এই সমাজে রীতি আজো; তোমার অশ্রু দেখানো মানা।
মোহন বাঁশি তবু জানি বিধি নিষেধের বাঁধ মানে না!
বাঁশির সুরে শ্রীমতীরা, গৃহত্যাগী হয় তোমারই টানে।
তোমার কান্না সুরের টানে, সেই কথা কি শ্রীমতী জানে?