প্রভাতী পাখির সুর, আয়েশী ঘুমের দুপুর, ক্লান্ত রাত,
সবই একাকার! ভেসে যাচ্ছে চিরচেনা আকাশটা,
মৃত্যু জোছনায়! চেনা নাম হুট করে জোনাকির মতো,
কখন যে নিভে যাবে তার প্রতীক্ষায়,
পার হয় ঘড়ির সময়, মৃত্যুগন্ধ মাখা দিনরাত!
শান্ত ওমের পার্বণ শেষে একগাদা ভীরু খরগোশ,
গাদাগাদি করে আছে; তাদের মুখ মানুষের মতো,
অন্তরীক্ষের যাদুকর তীব্র চোখে খুজছে অবিরত,
পরবর্তী শিকার! বসে থাকো চুপচাপ!
কেউতো জানেনা কিছু; কখন বিদায়ের কাল,
শুধু বুলেটিন চাপা কান্না আনে আজকাল,
করোটির উপর করোটি বসিয়ে প্রলম্বিত,
পরিসংখ্যানের গ্রাফ! বাড়ছে তো বাড়ছেই,
সুউচ্চ টাওয়ারের মতো আমাদের বুকের উপর,
বুলেটিনে শেষ হয় রাত, চলে আসে ভোর,
পুনুরাবৃত্ত বৃত্তের মতোন!


পটুয়া কামরুলের রমণীরা একদম চুপ;
নিঃশব্দ হয়ে আছে তাদের সুতীক্ষ অশ্রুত খিলখিল!
পশ্চিমের রাস্তার ঘাস ঘেষে ঝিনুকের মতো,
স্বপ্ন বোনে কতো জনক জননী; তারা দুঃসময়ে সারথি!
রাজহাঁস হতে গিয়ে অথৈ জলে পাগলের মতো খেলে,
ডুব দিচ্ছে মরণের কোলে!
কেউ তো জানেনা, পা কেটে যাবে কখন যে কার,
তবুও জীবন তীব্র আকাংখা নিয়ে রাজপথে,
পাগলা ঘোড়ার মতো আগুয়ান অন্তিম অভিমুখে!
প্রিয় সন্তানের মুখ ভেবে, কতো লোকে নিচ্ছে গরল,
হুট করে নিবন্ধিত হয়ে যাবে হয়তো,
পরিসংখ্যানে!  
দিন শেষে থাকে শুধু উন্মত্ত বুলেটিন,
সাইরেনের মতো বাজে একটানা বুলেটিন!
আহা! জয়নুল রং নিয়ে যদি বসতেন আরো একবার,
অসম্পূর্ণ মনপুরা যে আরো লাশ চায়!