আসে মেঘদল ছুঁতে পাহাড় অতল,
আলোছায়াদের দেশে ঝাঁক বেঁধে আসে,
ভুলতে জীবনের ক্লান্ত অভ্যাস!
ছেড়ে পুঞ্জিভূত সাজ, তারা হয় উদ্বায়ী!
শীতল বাষ্পের ঝড়ে অস্পষ্ট পাহাড়ি ঘর,
পাথরের ঢাল বেয়ে আকাশের কাছাকাছি,
সুনসান হয়ে নামে মেঘেদের ভোর!
শীতল রহস্য ছোঁয় জীবনের সব কোণ!  
গহীন স্মৃতির মত অন্ধ কুয়াশা মোড়া,
পাষাণ প্রাচীরে ঘেরা লাল কাঁদা ছুঁয়ে ছুঁয়ে,
এই উপত্যকায় নামে মেঘের শিশির।


অস্পষ্ট রেখায় আঁকা দুর্গম গিরিপথ,
মেঘের মুকুটে ছাওয়া দূর সীমা মিজোরাম!
বিশালও ক্ষুদ্র লাগে হাজার ফিটের নীচে!
আমার কাঠের ঘর পাথুরে পাখায় ঝোলে,
সাদা কুয়াশায় ভেজে মেঘেদের জলে,
পিচ্ছিল পাথরে নামে শ্যাওলার ঢেউ!  


অনন্তের সিড়ি হয়ে নামা পার্থিব সীমাতে,
সৃষ্টির প্রস্তরীভূত প্রহরী, তারা দুর্বোধ্য সৈনিক।
অযুত নিযুত কাল করে পার, অটল প্যারেডে!    
শৈল সমীরে প্রতিটি সত্ত্বা কাঁপে বিশুদ্ধ আবেগে!  
আসে মেঘদল, ক্লান্ত প্রহরীকে দিতে আলিঙ্গন,
স্যাঁতস্যাঁতে উপত্যকায় আনে রহস্য প্লাবন!